নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
যমজ কন্যাসন্তানের বয়স মাত্র ৪২ দিন। মুখে সেলোটেপ লাগানো অবস্থায় এক জনের দেহ পাওয়া গেল বাড়ির পাতকুয়োয়। অন্য জনকে মঙ্গলবার গভীর রাত পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। খড়দহের কুলীনপাড়ার এই ঘটনায় দুই শিশুর মা আরতি পালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রুজু হয়েছে খুনের মামলা।
পুলিশ জানায়, বিকেলে যমজ শিশুকে নিয়ে আরতি এবং তাঁর শাশুড়ি দুর্গাবালা পাল ঘুমিয়ে ছিলেন। আরতির স্বামী শঙ্কর পাল সকালেই নিজের গ্যারাজে চলে গিয়েছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ দুর্গাদেবী ঘুম ভেঙে দেখেন, শিশু দু’টি বিছানায় নেই। আরতি কান্নাকাটি করছেন। ভিড় জমে যায়। কেউ বাচ্চা দু’টিকে নিয়ে পালিয়েছে বলে সন্দেহ করেন পড়শিরা। দিনভর বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েও তাদের হদিস মেলেনি। রাত পৌনে ৯টা নাগাদ বাড়ির ভিতরেই ৩০ ফুট গভীর কুয়োয় একটি শিশুর দেহ ভেসে ওঠে। তার শরীরে জামাকাপড় ছিল না। দমকল দেহ তুলে দেখে, মুখে কালো সেলোটেপ আটকানো।
আরতির ঘরের দেরাজে কালো সেলোটেপের কিছু অংশ এবং কাঁচি পায় পুলিশ। ব্যারাকপুর কমিশনারেটের অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “ওই মহিলার আচরণ ও বক্তব্যে অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। দেরাজের চাবি তাঁর কাছেই থাকত।” পুলিশ জানায়, বহু চিকিৎসার পরে সম্প্রতি যমজ কন্যাসন্তান হয় আরতির। তাতে পরিবার খুশিই ছিল। কিন্তু আরতি অবসাদে ভুগছিলেন। শঙ্করবাবু বলেন, “আরতি এমন কোনও ঘটনা ঘটাতে পারে বলে মনে হয় না।” গত ২২ মার্চ কামারহাটির রোজনবাগানে বাড়ির কুয়োয় একটি শিশুর দেহ উদ্ধারের পরে তার মা তবাসুম পরভিন ও তাঁর স্বামী গ্রেফতার হন। তবাসুম আদালতে জানান, জল আনতে গিয়ে তাঁর হাত থেকে শিশুটি জলে পড়ে যায়। এ ক্ষেত্রেও তেমন কিছু ঘটেছিল কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। |