এ বার সরকারি জমিতে দোকান তৈরির চেষ্টার অভিযোগ উঠল প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার সকালে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তেতে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের শোনপুর বাজার এলাকা। এলাকাবাসীর একাংশের দাবি, বোমাবাজিও হয়। পুলিশ পরিস্থিতি সামাল দেয়। দোকান তৈরির কাজ বন্ধ করা হয়। এ ব্যাপারে কোনও অভিযোগ দায়ের না হলেও মহকুমাশাসক (বারুইপুর) আরশাদ হোসেন ওয়াসি বলেন, “শোনপুরে সরকারি জমি দখল করে দোকান তৈরির চেষ্টা হয়েছে শুনেছি। বিডিও-কে খোঁজ নিতে বলেছি।” ভাঙড়-২ ব্লকের বিডিও অরুণ সেনগুপ্ত জানান, ওই ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, শোনপুর বাজার এলাকায় একটি সেতু তৈরির জন্য ১৭টি দোকান ভাঙা হয় ২০১০-এ। পরবর্তীকালে ওই সব দোকানদারদের জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মাথাপিছু ৪৫ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। ওই বছরেই উদ্বোধন হয় শোনপুর সেতুর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে সেতুর নীচে পূর্ত দফতরের জায়গায় দোকান তৈরির কাজ শুরু করে আরাবুলের লোকজন। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, দোকান গড়ার কাজ তদারক করছেন আরাবুল। তিনি দাবি করেন, ক্ষতিপূরণ পাওয়া দোকানদারদের জন্যই সেখানে দোকান গড়া হচ্ছে। এই সময়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের ‘নিগ্রহ’ করা হয়।
অভিযোগ উড়িয়ে আরাবুল বলেন, ‘‘অন্যায় ভাবে কিছু করা হয়নি। সেতুর তৈরির সময় যাঁদের দোকান ভাঙা হয়েছিল তখন তাঁদের বলেছিলাম, ‘সেতু তৈরির পরে তার নীচে দোকান তৈরি করে দেওয়া হবে’। সেইমতো এ দিন দোকান তৈরি করা হচ্ছিল।” কিন্তু ক্ষতিপূরণ পাওয়ার পরেও কেন ওই সব দোকানদারদের জন্য ফের দোকান তৈরি করে দেওয়া হচ্ছিল? তা-ও আবার সরকারি জমিতে? ওই তৃণমূল নেতার জবাব, “বিধায়ক থাকার সময়ে আমি জেলা প্রশাসনের অনুমতি নিয়েছিলাম।” তাঁর দাবি, “অশান্তি ছড়াতে সিপিএমের লোকেরাই এ দিন ওই এলাকায় বোমাবাজি করেছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের জেলা সম্পাদক সুজন চক্রবর্তী বলেন, “এর আগে আরাবুল কলেজের শিক্ষিকাকে নিগ্রহ করেছে। ওঁর ভাই সিন্ডিকেটের ব্যবসার জন্য খুন করাচ্ছে। এখন সাংবাদিকেরাও রেহাই পাচ্ছেন না।”
আরাবুলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী বলেন, “ঘটনাটি শুনেছি। এ ব্যাপারে দল খোঁজ নেবে।” |