|
|
|
|
শিলদা-মামলার বিচারে যুক্ত করার নির্দেশ |
ফের জেলহাজতে বিক্রম |
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
মাওবাদী-নেতা অর্ণব দাম ওরফে বিক্রমকে শিলদা-কাণ্ডের ইউএপিএ মামলাটির বিচার প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার জন্য দায়রা সোপর্দ করল ঝাড়গ্রামের এসিজেএম আদালত। মঙ্গলবার পুরুলিয়া জেল থেকে অর্ণবকে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতে হাজির করা হয়। অর্ণবকে ১৪ দিন জেল হাজতে রাখার নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম সুপর্ণা রায়। সরকারি কৌঁসুলি কণিষ্ক বসু জানান, আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অর্ণবকে ওই মামলার বিচার প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার জন্য মেদিনীপুরের আদালতে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন ঝাড়গ্রামের ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম। সিআইডির দাখিল করা চার্জশিটে শিলদা-কাণ্ডের অভিযুক্ত-তালিকায় বিক্রমের নাম রয়েছে। ইতিপূর্বে সিআইডির আবেদনক্রমে ঝাড়গ্রাম এসিজেএম আদালতের নির্দেশে অর্ণবকে ওই মামলায় যুক্ত করা হয়েছিল। |
|
মাওবাদী নেতা বিক্রম। —নিজস্ব চিত্র। |
এ দিন অর্ণব তাঁর আইনজীবী কৌশিক সিংহের মাধ্যমে সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে ফের মূলস্রোতে ফেরার আবেদন জানান। কৌশিকবাবু বলেন, “আমার মক্কেল লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, অতীতে তিনি মাওবাদী প্রভাবিত গণ আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও মতাদর্শগত কারণে অনেক আগেই সেই সঙ্গ পরিত্যাগ করেছেন। তিনি মূল স্রোতে ফিরে শান্তিপূর্ণ জীবন যাপন করতে চান।” বিবৃতিতে অর্ণব দাবি করেছেন, তিনি রাষ্ট্রদ্রোহ, খুন ও নাশকতার মতো কোনও অপরাধমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি ভেবেছিলেন, পুলিশ তাঁকে মূলস্রেতে ফিরতে সাহায্য করবে। কিন্তু ঝালদা থেকে শিলদা-র মতো বিভিন্ন মামলায় তাঁকে মিথ্যা ভাবে অভিযুক্ত করা হয়েছে বলে অর্ণবের দাবি। এদিন অর্ণবকে পুরুলিয়া জেলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত বছর ১৬ ডিসেম্বর থেকে শিলদার মামলার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিচার চলছে মেদিনীপুরের ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক শুভেন্দু সামন্তের এজলাসে। শিলদা কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে দু’জন নাবালক-নাবালিকা। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন সুদীপ চোঙদার, অনু মাইতি, কাজল মাহাতো, শুকলাল মাহাতো, লোচন সিংহ সর্দার প্রমুখ। বিচারের জন্য মামলাটি আগেই দায়রা-সোপর্দ করেছিল ঝাড়গ্রামের এসিজেএম আদালত। পরে মেদিনীপুরের ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে বিচারের জন্য মামলাটির চার্জগঠন হয়।
ধৃতদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ’র ৬টি ধারা, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৫টি ধারা ও অস্ত্র আইনের ১টি ধারায় মামলাটির বিচার চলছে। বিচার চলাকালীন আরও কয়েকজন অভিযুক্ত ধরা পড়ায় মামলাটির তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে সিআইডি। ২০১০ সালের ১৫ ফ্রেব্রুয়ারি শিলদায় ইএফআর ক্যাম্পে হামলা চালিয়েছিল মাওবাদীরা। প্রাণ হারান ২৪ জন জওয়ান। এই মামলায় ৭০ জন সাক্ষী রয়েছেন। যাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা শুরু হয়েছে, সেই ইএফআর জওয়ান নারায়ণ ছেত্রীই প্রথম সাক্ষ্য দিয়েছেন। |
|
|
|
|
|