মাঠে নেমে কেঁদে ফেলেছিলাম ক্যামেরা ধরতে পারেনি...
ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা প্রত্যাবর্তনের দৃশ্য মঙ্গলবার চেন্নাইয়ে ক্যামেরাবন্দি হয়ে ইতিহাসে ঢুকে গিয়েছে। কিন্তু ভারতীয় ক্রিকেটের সম্ভবত সবচেয়ে আবেগঘণ মুহূর্ত লোকচক্ষুর আড়ালেই রয়ে গেল। মারণযুদ্ধ জয় করে ক্রিকেট মাঠে প্রত্যাবর্তনের মুহূর্তে চোখের জল চেপে রাখতে পারেননি যুবরাজ সিংহ। দ্বিতীয় ওভারেই নিজের পরিচিত জায়গা, সেই পয়েন্টে ফিল্ডিং করার সময় কেঁদে ফেলেছিলেন। মানুষের চোখ তো বটেই, ক্যামেরাও সেই দৃশ্য দেখতে পায়নি।
“কী মনে হচ্ছিল তখন আপনাদের বলে বোঝাতে পারব না,” ম্যাচ শেষে মাঠেই টিভি ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে বলছিলেন যুবরাজ, “যখন ফিল্ডিং করতে নামলাম, চোখের জল চেপে রাখতে পারিনি। ক্যামেরা সেই দৃশ্য ধরতে পারেনি।” বলার সময়ও কিন্তু কেঁপে উঠছিল ‘মৃত্যুঞ্জয়ী’র গলা। স্টেডিয়ামের দিকে তাকিয়ে বলছিলেন, “আজ আমার সত্যিই গর্ব হচ্ছে। আমার মা, আমার বন্ধুরা....আজ সবাই মাঠে এসেছে। আমি সবার কাছেই কৃতজ্ঞ।”
বাইশ গজে যাওয়ার আগে।
প্রথম বাউন্ডারি খোঁচা দিয়ে পেলেন, তখন কি একটু নার্ভাস লাগছিল? প্রশ্নকর্তাকে থামিয়ে দিয়ে বেরিয়ে এল সেই আগ্রাসী যুবরাজ, “কে বলল খোঁচা? আমি ওটা ইচ্ছে করে থার্ডম্যান দিয়ে খেলেছিলাম। তবে হ্যাঁ, এটা বলতে পারেন তখনও হয়তো পুরো আত্মবিশ্বাসী ছিলাম না।”
তা হলে কখন বুঝলেন নিজের মেজাজে ফিরেছেন? ভেত্তোরিকে ছয়টা মারার সময়? উত্তর দিতে সময় নিলেন না যুবরাজ: “হ্যাঁ। টাইমিংটা ঠিকঠাক হল। ছয়টা মেরেই মনে হল আই অ্যাম ব্যাক। আমি সত্যিই ফিরতে পেরেছি।”
নিজের অতিমানবীয় প্রত্যাবর্তনের ইনিংসে করেছেন ২৬ বলে ৩৪, দুটো ছয়। তা সত্ত্বেও একটা কাঁটা খচখচ করছে। “ম্যাচটা আমাদের জেতা উচিত ছিল। জেতাতে পারলাম না বলে খারাপ লাগছে।” ধোনি আজ টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন। যুবরাজ মনে করছেন, নিজেকে মানসিক ভাবে তৈরি করতে তাঁর ওই দেড় ঘণ্টা সময় খুব কাজে এসেছে। “প্রথমে ব্যাট করতে হলে হয়তো একটু বেশি নার্ভাস লাগত। ব্যাট করতে নামার আগে মাঠে ২০ ওভার কাটাতে পেরে আমার সুবিধেই হয়েছে।”
কথা শেষ। এর পর আস্তে আস্তে ড্রেসিংরুমের দিকে চলে গেল লম্বা চেহারাটা। চেন্নাইয়ের মাঠে এক রূপকথাকে জন্ম দিয়ে।

চিপকে যুবি-রাজ
সন্ধ্যা ৭.০০: টিম ইন্ডিয়ার জার্সি গায়ে মাঠে।
ফিল্ডার যুবরাজ: মিড উইকেট, পয়েন্ট। প্রথম ছয় ওভারে সার্কেলের মধ্যে। পরে হাতে চোট লাগায় বাউন্ডারিতে। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট থেকে ছুটে এসে ক্যাচ ধরা।

৭.২৮: বল করতে ডাকলেন ধোনি।
বোলার যুবরাজ: প্রথম ওভারে চার রান। দ্বিতীয় ওভারে ম্যাকালাম মারলেন ছয়। একই ওভারে ম্যাকালামের জোরালো শটে কট অ্যান্ড বোল্ড ফস্কানো।

৯.২৭: ব্যাট হাতে মাঠে।
ব্যাটসম্যান যুবরাজ: অফ সাইডে ৯ রান। অন সাইডে ২৫। প্রথম বাউন্ডারি পাঁচ নম্বর বলে। প্রথম ওভার বাউন্ডারি আট নম্বর বলে। মোট দুটো ছয়, একটা চার।

১০.১৬: আউট
ইনিংসের শেষ ওভারের চার নম্বর বলে ফ্র্যাঙ্কলিনের স্লোয়ারে ঠকে বোল্ড।

তোমার কামব্যাকের দৃশ্যটাই অসাধারণ যুবিভাই।
অসাধারণ একজন যোদ্ধা আবার মাঠে ফিরল।
ইচ্ছাশক্তির বড় নিদর্শন। ঈশ্বরের হাত সর্বদা তোমার মাথায় থাকুক।
ম্যাচটা মনে থাকবে যুবির জন্য।
স্বাগত যুবি। তোমাকে এত দিন মিস করছিলাম।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.