|
|
|
|
খড়্গপুরে গণধর্ষণ |
নিরাপত্তায় শহরবাসীকে পাশে চাইলেন ডিআইজি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • খড়্গপুর |
রেলশহর খড়্গপুরে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে আশ্বস্ত করল পুলিশ। এ ক্ষেত্রে শহরবাসীর সহযোগিতাও চাওয়া হয়েছে। পুলিশের মতে, শহরের বিভিন্ন ক্লাব-সংস্থা এগিয়ে আসুক। কোথাও সন্দেহজনক কিছু মনে হলেই খবর দিক। পুলিশ দ্রুত তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করবে।
শহরের বুকে একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় নতুন করে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। ‘চাপে’ রয়েছে পুলিশও। মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার সুনীল চৌধুরী, খড়্গপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বরুণচন্দ্র শেখরকে নিয়ে খড়্গপুর টাউন থানায় এক সাংবাদিক বৈঠক করেন ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) লক্ষ্মীনারায়ণ মিনা। ডিআইজি বলেন, “উদ্বেগের কিছু নেই। শহরে পুলিশি টহল বাড়ানো হয়েছে। সর্বত্র নজরদারি চলছে। কয়েকটি জায়গায় বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছি।” |
|
সাংবাদিক বৈঠকে ডিআইজি, পুলিশ সুপার। ছবি: রামপ্রসাদ সাউ। |
তাঁর কথায়, “একটা ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ক্ষেত্রে দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়েছে। ঘটনায় ৭ জন যুবক জড়িত রয়েছে। এদের মধ্যে ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের নামও জানা গিয়েছে। তল্লাশি চলছে।” শহরবাসীকে নজরদারির কাছে সহযোগিতা করার আবেদন জানিয়ে ডিআইজি বলেন, “আমরা চাই, বিভিন্ন ক্লাব-সংস্থা এগিয়ে আসুক। সহযোগিতা করুক। পুলিশের কাছে কোনও খবর এলেই তা খতিয়ে দেখে দ্রুত পদক্ষেপ করা হবে। সকলে সচেতন হলে এ ধরনের ঘটনাও এড়ানো যাবে।”
তবে কেন এখনও বাকি অভিযুক্তেরা ধরা পড়ল না, সেই প্রশ্ন উঠছেই। পুলিশের বক্তব্য, ২ জন ধরা পড়ার পর বাকিরা গা ঢাকা দিয়েছে। শনিবার রাতে খড়্গপুরের মথুরাকাটিতে এক ছাত্রীকে গণধর্ষন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সন্ধ্যায় এক বান্ধবীর বাড়ি থেকে নিজের বাড়িতে ফেরার পথে কয়েকজন যুবক তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েটির বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। ঘটনার তদন্তে রবিবার খড়্গপুরে এসেছিলেন আইজি (পশ্চিমাঞ্চল) গঙ্গেশ্বর সিংহ। কৌশিক দাস ও প্রতীক দেব নামে দুই যুবককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ঘটনার প্রতিবাদে পথে নেমেছে একাধিক ছাত্র-যুব-মহিলা সংগঠন। শহর কংগ্রেসের তরফেও টাউন থানায় বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। |
|
|
|
|
|