|
|
|
|
স্থায়ীকরণ-সহ নানা দাবি |
পুরসভার সামনে অবস্থান মেদিনীপুরের পুরকর্মীদের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
‘সমন্বয় মঞ্চ’ তৈরি হয়েছিল আগেই। এ বার সেই মঞ্চের উদ্যোগে মেদিনীপুর পুরসভার সামনে হল অবস্থান-বিক্ষোভ। চলল স্লোগান দিতে থাকেন। পুরসভার আশপাশে ব্যানার-পোস্টারও লাগানো হয়েছে।
কেন এই আন্দোলন? মঞ্চের নেতৃত্বের বক্তব্য, আগেও পুর-কর্তৃপক্ষের কাছে নির্দিষ্ট কয়েকটি দাবি নিয়ে দরবার করা হয়েছে। তখন কর্তৃপক্ষ বলেছিলেন, রাজ্যে বাম সরকার। আর এই পুরসভায় তৃণমূল-কংগ্রেস জোট। ফলে, বেশ কিছু সমস্যা হচ্ছে। কিন্তু পরিবর্তনের পরেও পুর-কর্তৃপক্ষ এ নিয়ে উদ্যোগী হননি। উল্টে কর্মীদের বঞ্চনা আরও বাড়ছে। মঞ্চের তরফে সমীর প্রামাণিক বলেন, “বাধ্য হয়েই আন্দোলনে নেমেছি। আশা করব, পুর-কর্তৃপক্ষ আমাদের দাবিগুলি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করবেন।” তা না হলে মঞ্চ কি ধর্মঘটের পথে যাবে? সমীরবাবু বলেন, “আমরা ধর্মঘটের বিরোধী। পুরসভা অচল করার বিরোধী। তাই পুরসভা সচল রেখেই আন্দোলন করছি। পরবর্তীকালে আন্দোলন কোন পথে এগোবে, তা আলোচনার প্রেক্ষিতেই ঠিক হবে।” |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
স্থায়ীকরণ-সহ ছ’দফা দাবির ভিত্তিতে আন্দোলন শুরু করেছেন পুর-কর্মীরা। গত মঙ্গলবার পুরপ্রধানকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছিল। বুধবার থেকে দুপুর বেলায় ‘প্রতীকি’ বিক্ষোভও দেখানো হয়েছে। আর এই মঙ্গলবার সকাল থেকে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষুব্ধদের মধ্যে ডান-বাম, দুই শিবিরের সংগঠনই রয়েছে। মেদিনীপুর মিউনিসিপ্যালিটি এমপ্লয়িজ কংগ্রেস (এমএমইসি), মেদিনীপুর মিউনিসিপ্যালিটি এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন (এমএমইএ) ও মেদিনীপুর মিউনিসিপ্যালিটি এমপ্লয়িজ ফেডারেশন (এমএমইএফ)- এই তিনটি সংগঠন মিলে গড়ে উঠেছে সমন্বয় মঞ্চ। দাবিও রয়েছে। মঞ্চের এক নেতা বলেন, “এখন পুরসভায় ৪১০ জন অস্থায়ী কর্মী। আগের বোর্ডের আমলে সংখ্যাটা ছিল প্রায় ৩০০। এই বোর্ডের আমলে তা আরও বেড়েছে। এঁদের স্থায়ীকরণের কোনও উদ্যোগ নেই। অথচ কাঁথি-বালুরঘাট পুরসভায় স্থায়ীকরণ হচ্ছে।” স্থায়ীকরণ ছাড়াও প্রভিডেন্ট ফান্ডের বকেয়া প্রায় ১ কোটি টাকা অবিলম্বে জমা দেওয়া, পুর-কর্মীদের বেতন থেকে কেটে নেওয়া ব্যাঙ্ক ঋণের প্রায় ৯০ হাজার টাকা জমা দেওয়ার দাবিও জানিয়েছে মঞ্চ। মঞ্চের এক নেতা বলেন, “অবসরগ্রহনের পর গ্র্যাচুইটি বাবদ কর্মীদের শুরুতে মাত্র ২৫ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। পরে তাঁদের বয়েকা টাকার জন্য বারবার ঘুরতে হচ্ছে। কেন এমন হবে?” অবসরকালীন প্রাপ্য গ্র্যাচুইটির ৫০ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ারই দাবি জানিয়েছে মঞ্চ। পাশাপাশি, তাদের বক্তব্য, পুরসভায় একটি ভাড়া গাড়ি রয়েছে। তাও অন্য একটি গাড়ি ভাড়া করা হয়েছে। এ জন্য মাসে প্রায় ১ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে।
মঞ্চের তরফে সমীরবাবু বলেন, “আমরা আগেও পুর-কর্তৃপক্ষের কাছে এই দাবি পেশ করেছি। গত বছর ৩ অগস্ট পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দেখা করেছি। শুধু আশ্বাসই মিলেছে।” মেদিনীপুরের উপপুরপ্রধান এরশাদ আলি বলেন, “কয়েকটি দাবিতে আন্দোলন চলছে বলে শুনেছি। দাবিগুলি খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে।” |
|
|
|
|
|