ঠিক ১১৯ বছর আগে এই দিনে শিকাগোতে বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে সর্বধর্ম সমন্বয়ের পক্ষে সওয়াল করে বিশ্ববাসীর কাছে ভারতের বার্তা দিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ। ১১ বছর আগে এই দিনেই সন্ত্রাসবাদী হামলায় ধ্বংস হয় আমেরিকার টুইন টাওয়ার। ৯/১১-র সেই বীভৎসতা মুছে দিনটিকে সর্বধর্ম সমন্বয়ের দিন হিসেবে তুলে ধরতে চায় রামকৃষ্ণ মিশন। ‘একমাত্র শিক্ষার প্রসারই’ সেটাকে সম্ভব করে তুলতে পারে বলে মনে করেন তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামা, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালামরা। দিল্লিতে রামকৃষ্ণ মিশনের বিশ্ব ধর্ম সম্মেলনে অংশ নিয়ে দলাই লামা আজ ভারতের প্রশংসা করে বলেন, “একমাত্র প্রকৃত ও বাস্তবমুখী শিক্ষাই সব সমস্যা মেটাতে পারে। হৃদয়ে প্রকৃত জ্ঞানের আলোর উন্মেষই মেটাতে পারে দু’টি ভিন্ন ধর্মালম্বী মানুষের পারস্পরিক বিদ্বেষকে।” তাঁর মতে, “ভারতই সর্বধর্ম সহিষ্ণুতার জলজ্যান্ত উদাহরণ।” |
এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যায় দিল্লি রামকৃষ্ণ মিশনের সেক্রেটারি স্বামী শান্তাত্মানন্দ বলেন, “দেশের নতুন প্রজন্মকে জানাতে হবে, এই দিনটি সন্ত্রাসের নয়, সর্বধর্ম সমন্বয়ের। যে সমন্বয়ের বার্তা দিয়েছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ।” ১৯৫৯ থেকে ভারতে আশ্রিত এই ধর্মগুরু নিজের অভিজ্ঞতার নিরিখেই বলেন, “এ দেশের মানুষ নিজেদের ধর্মাচরণের পাশাপাশি বিশ্বের প্রায় সমস্ত ধর্মের মানুষকে আপন করতে পিছপা হন না। ভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ছোটখাটো ঝামেলা হলেও ভারত কিন্তু প্রমাণ করে দেখিয়েছে, এ দেশে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীরা শান্তিপূর্ণ সহবস্থান করতে পারেন।”
শিক্ষার পক্ষে সওয়াল করেন কালামও। তিনি বলেন, “সাম্প্রতিক কালে এই উপমহাদেশের একাধিক দেশ সম্প্রদায়িক সংঘর্ষে বিক্ষত হয়েছে। এই সমস্যা মেটাতে পারে শিক্ষা।” পাশাপাশি, বিভিন্ন দেশের মধ্যে সংঘাত মেটাতে সার্ক ও আশিয়ান-এর মতো সংস্থাগুলির মধ্যে আরও পারস্পরিক সম্পর্ক বাড়ানোর উপরেও জোর দেন কালাম। |