বিদ্যুৎ বণ্টন নিয়ে প্রশ্নের মুখে উত্তরপ্রদেশ সরকার। ইলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ আজ বিদ্যুৎ বণ্টন সংক্রান্ত এক জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে রাজ্যের বিদ্যুৎচিত্রকে ‘উদ্বেগজনক’ বলে মন্তব্য করেছে।
কেন?
দেখা যাচ্ছে, রাজ্যের মাত্র ছ’টি জেলায় ২৪ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এই জেলাগুলি হল, কন্নৌজ, ইটাওয়া, মৈনপুরী, রামপুর, অমেঠী এবং রায়বরেলী। অথচ বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে অন্য জেলাগুলিতে। রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতর আদালতে জানিয়েছে, এই ছ’টি জেলায় প্রায় সারা বছরই ভিআইপিদের আনাগোনা লেগে থাকে। সেই জন্যই জেলাগুলিতে এই ‘বিশেষ সুবিধা’র ব্যবস্থা করা হয়েছে!
ঘটনাচক্রে, ছ’টি জেলার সবক’টির সঙ্গেই রাজনৈতিক ‘হেভিওয়েট’দের নাম জড়িয়ে। রায়বরেলী এবং অমেঠী যথাক্রমে সনিয়া এবং রাহুল গাঁধীর নির্বাচনী কেন্দ্র। মৈনপুরী মুলায়ম সিংহ যাদবের, কন্নৌজ ডিম্পল যাদবের এবং রামপুর রাজ্যের মন্ত্রী আজম খানের নির্বাচনী কেন্দ্র। ইটাওয়া আবার রাজ্যের প্রাক্তন এবং বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর জন্মস্থান। এই জেলার সইফাই গ্রামেই জন্ম মুলায়ম সিংহ যাদব এবং অখিলেশ যাদবের! |
ছ’টি জেলার এই ‘বিশেষ সুবিধা’ পাওয়ার বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয় হিন্দু পার্সোনাল ল বোর্ড। বোর্ডের তরফে আইনজীবী অশোক পাণ্ডে দাবি করেন, রাজ্যের অন্য জেলাগুলিকে ‘বঞ্চিত’ করে ছ’টি জেলায় এই ভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সংবিধান বিরোধী। তিনি আবেদন করেন, রাজ্যের অন্য জেলাগুলির বিদ্যুতের প্রয়োজনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই ওই ছ’টি জেলায় বিদ্যুৎ সরবাহ করা হোক। রাজ্য সরকার এবং উত্তরপ্রদেশের বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার তরফে অবশ্য জনস্বার্থ মামলাটির বৈধতা নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
তবে তাতে বিদ্যুৎ বণ্টনের অসামঞ্জস্য ঢাকা পড়ছে না। ইলাহাবাদ হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ আজ রাজ্যের বিদ্যুৎ দফতরকে হলফনামা দিয়ে এই ব্যবস্থার কারণ সবিস্তার জানাতে নির্দেশ দিয়েছে। ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই হলফনামা দিতে হবে। ২৪ সেপ্টেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি। |