রাস্তার উপরে দু’টি পণ্যবাহী ট্রাক খারাপ হয়ে যাওয়ায় দীর্ঘ ক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হল পানাগড়-মোরগ্রাম ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে। সোমবার রাতে সিউড়ি বড়বাগানের কাছাকাছি ওই ঘটনায় রাস্তার দু’পাশে লাইন দিয়ে শ’য়ে শ’য়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে যায়। গাড়ি দু’টি ঠিক করে সারাতে মঙ্গলবার বেলা গড়িয়ে দুপুর হয়ে যায়। ফলে ব্যাপক যানজট তৈরি হয় ওই রাস্তায়। বাস-সহ বহু যানকে কোনও রকমে সিউড়ির ভেতরের রাস্তা দিয়ে পার করে দেয় পুলিশ। সিউড়ি থানার আইসি সুমহান রায় চৌধুরি বলেন, “দু’টি গাড়ি পাশাপাশি এমন ভাবে বিকল হওয়ায় যানবাহন নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়। তবে এ দিন বারোটার পর গাড়ি দু’টিকে সরানো সম্ভব হয়। তারপর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।” |
রাস্তায় গাড়ি খারাপ হয়ে সমস্ত যানবাহন থমকে যাওয়ার ঘটনায় রাস্তার বেহাল দশাকেই দায়ী করছেন বিভিন্ন মহলের লোকজন। ট্রাকচালক সোলেমান খান, বাসচালক ষষ্ঠী দলুই বলেন, “রাস্তার যেখানে সেখানে গাড়ি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী রাস্তার বেহাল অবস্থাই।” অন্য দিকে, শিক্ষক বরুণ দাস, ব্যাঙ্ক কর্মী মানিক রায়ের ক্ষোভ, “আমাদের নিত্যদিন এমন দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। রাস্তা কবে সারবে!” ক্ষোভ সত্ত্বেও এখনই ওই রাস্তা সাড়ানো যাবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সুশোভন গুহ। তিনি বলেন, “রাস্তা সারানোর টাকা নেই। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে টাকা চাওয়া হয়েছে। টাকা না পাওয়া গেলে এবং বর্ষা শেষ না হলে কিছু করা যাবে না।”
|
যন্ত্রচালিত ভ্যান উল্টে গায়ে গরম জল পড়ে মারাত্মক জখম সাত স্কুলপড়ুয়ার মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃত বালকের নাম নুর নবি শেখ (৭)। বাড়ি নলহাটি থানার নওয়াপাড়া গ্রামে। বাকি ৬ জনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। তাদের মধ্যে দু’জনের পরিবার সোমবারই নিজেদের দায়িত্বে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যান। বাকি চার পড়ুয়াকে বর্ধমান মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে। সোমবার সকালে মুর্শিদাবাদের নবগ্রাম থানার পাঁচগ্রাম এলাকায় একটি বেসরকারি প্রাথমিক স্কুলে নলহাটির বিভিন্ন গ্রাম থেকে ৩২ জন স্কুলপড়ুয়া যন্ত্রচালিত ভ্যানে করে যাচ্ছিল। স্কুল থেকে ১ কিমি আগেই পাঁচগ্রামের ভেতরে আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই ভ্যানগাড়িটি উল্টে যায়। উল্টে যাওয়ার মুহূর্তে মোটর চালিত ভ্যানটির গরম জল পড়ুয়াদের গায়ে পড়ে যায়। উল্টে যাওয়ার মুহূর্তে মোটর চালিত ভ্যানটির গরম জল পড়ুয়াদের গায়ে পড়ে যায়। তাতে ৬ থেকে ১০ বছর বয়সের ওই সাত পড়ুয়ার শরীরের নানা অংশ মারাত্মক ভাবে পুড়ে গিয়েছিল।
|
বোমা ফেটে জখম হলেন ৮ জন। তাঁদের মধ্যে সাত জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রামপুরহাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ১ জনকে বর্ধমানে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বোমা বাঁধতে গিয়ে এই বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে রামপুরহাট সানঘাটা কাঁদর সংলগ্ন এলাকায়। আহতেরা প্রত্যেকেই রামপুরহাট থানার বগটুই গ্রামের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা। জেলা পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “কারা কী কারণে বোমা বাঁধছিল এবং এই ঘটনার সঙ্গে রাজনৈতিক কোনও সম্পর্ক আছে কি না পুলিশ খতিয়ে দেখছে।” পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে দু’জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। মৃতেরা হলেন নুর আলম (১৯)। অন্য জনের পরিচয় জানা যায়নি। |