|
|
|
|
হাইকোর্টের নির্দেশে হলদিয়ায় আরও চার দিন থাকবে এবিজি |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
হলদিয়া বন্দরের দুই এবং আট নম্বর বার্থে পণ্য খালাসের কাজ আরও চার দিন চালিয়ে যাবে এবিজি-এলডিএ সংস্থা। শনিবারই তারা বন্দরের সব কাজ বন্ধ করে দেবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আরও চার দিন তারা কাজ চালিয়ে যাবে বলে সংস্থার পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে। সংস্থার দাবি, এই সময়ের মধ্যেই কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ উভয়পক্ষের কাছে গ্রহণযোগ্য কোনও সমাধান সূত্র বের করতে পারবে।
বন্দরের তরফে এক প্রেস বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গত ৭ সেপ্টেম্বর বন্দরের অছি পরিষদের বৈঠক বসেছিল। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছে, কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের তরফে এবিজি-কে নির্দিষ্ট পরিমাণ পণ্য খালাসের ব্যবস্থা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া সম্ভব নয়, তবে ওই সংস্থা যাতে কাজ চালিয়ে যেতে পারে, তার জন্য দুই এবং আট নম্বর বার্থে আরও বেশি সংখ্যক জাহাজ নোঙর করানো হবে। |
|
বন্দরের তরফে বলা হয়েছে, এবিজি-র সঙ্গে চুক্তির খেলাপ হয়নি। তা সত্ত্বেও তারা পণ্য খালাস বন্ধ করার নোটিস দেওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে বন্দর। আদালত উভয়পক্ষকে আলোচনার মাধ্যমে জট ছাড়াতে নির্দেশ দিয়েছে। সেই সূত্র ধরেই সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে কথাবার্তা চালানো হচ্ছে।
এ দিকে এবিজি-র সিইও গুরপ্রীত মালহি বলেন,“হাইকোর্টের আবেদনে কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষ হলদিয়া বন্দরকে বাঁচাতে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা মেনে নিয়েছে। তাই যদি হয়, তা হলে বন্দর কর্তৃপক্ষ কেন বছরে ৯০ লক্ষ টন পণ্য খালাসের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন না? তাতে বন্দরের আয় বাড়বে, আমরাও লোকসান কমাতে পারব।”
প্রসঙ্গত, হলদিয়া বন্দরের যে দু’টি বার্থে এই সংস্থা কাজ করে সেখানে ৩টি মোবাইল হারবার ক্রেন দিয়ে পণ্য খালাস করা হয়। ৩৫০ জন লোক নিয়েই এই কাজ করা সম্ভব। কিন্তু শ্রমিক ইউনিয়নগুলির চাপে ১০০০ শ্রমিক নিতে বাধ্য হয়েছে এবিজি। বাড়তি লোক নেওয়ার সময় সংস্থাকে মাসে সাড়ে ৭ লক্ষ টন পণ্য খালাসের কথা দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তা কার্যকর হয়নি। তাই পাততাড়ি গোটাতে চেয়ে বন্দরকে নোটিস দেয় এবিজি। বন্দর কর্তাদের কথায়, এবিজিকে কত পণ্য খালাস করতে দেওয়া হবে তা চুক্তিতে লেখা নেই। |
|
|
|
|
|