নাম গোপনের চেষ্টা করেন প্রশান্ত: সিআইডি
দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডে অভিযুক্ত প্রশান্ত ঘোষ ধরা পড়ার পরে ওড়িশা পুলিশের কাছে নিজের পরিচয় গোপন করেছিলেন বলে দাবি করল সিআইডি। সিআইডি-র এক আধিকারিকের কথায়, “প্রাক্তন মন্ত্রী সুশান্ত ঘোষের ভাই প্রশান্তবাবু প্রথমে নিজেকে অমিত দাস বলে পুলিশের কাছে দাবি করেন। কিন্তু পকেটে থাকা এটিএম কার্ডে তাঁর আসল নাম লেখা থাকায় ধরা পড়ে যান।”
শনিবার তাঁকে পুরী আদালতে হাজির করানো হয়। ৩ দিনের ‘ট্র্যানজিট রিমান্ড’ পায় সিআইডি। আজ, রবিবার প্রশান্তবাবুকে খড়্গপুরে আনা হবে। সেখানে ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর পরে তাঁকে মেদিনীপুর আদালতে হাজির করানো হতে পারে বলে সিআইডি জানিয়েছে।
সিআইডি-র একটি সূত্রের দাবি, পুলিশের হাতে ধরা পড়ার আগের মুর্হূতে ‘পালানোর চেষ্টা’ করেন প্রশান্ত। পুরীতে যে হোটেলে তিনি ছিলেন, তার ছাদেও উঠে পড়েছিলেন। কিন্তু সেখানে পড়ে গিয়ে গোড়ালিতে চোট পান। ফলে, হাঁটাচলা করতে অসুবিধা হচ্ছে তাঁর। এটিএম কার্ড ছাড়াও, ধরা পড়ার পরে প্রশান্তবাবুর ছবিও মিলিয়ে নেয় পুলিশ। দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডের তদন্তকারী অফিসার সিআইডি-র ডিএসপি পূর্ণশিব মুখোপাধ্যায় বলেন, “প্রশান্তবাবু নাম গোপন করার চেষ্টা করেছিলেন বলে শুনেছি। তদন্ত চলছে।” দাসেরবাঁধ কঙ্কাল-কাণ্ডের মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সিপিএম বিধায়ক সুশান্তবাবু। গত বছর ২৩ সেপ্টেম্বর মেদিনীপুর আদালতে এই মামলার চার্জশিট পেশ হয়। চার্জশিটে মোট ৫৮ জনের নাম রয়েছে। প্রশান্তবাবুকে নিয়ে এই মামলায় ধৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২২। তাঁদের মধ্যে সুশান্তবাবু-সহ ৭ জন এখন জামিনে মুক্ত।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.