‘ব্রাউনি’ বলে খোঁটা শুনেছিলেন প্রিয়ঙ্কাও
বিশ্ব সুন্দরীর খেতাব থেকে বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। তাঁর মুকুটে জুড়েছে একের পর এক সাফল্যের পালক। সেই প্রিয়ঙ্কা চোপড়াকেই এক দিন খোঁটা শুনতে হয়েছিল ‘ব্রাউনি’ বলে।
এই অবশ্য প্রথম নয়। বর্ণ-বিদ্বেষের শিকার হয়েছিলেন অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টিও। ২০০৭ সালে জনপ্রিয় এক ব্রিটিশ রিয়্যালিটি শো’তে প্রতিদ্বন্দ্বীদের সরাসরি আক্রমণের মুখে পড়েন তিনি। এমনকী, সেখানে ‘ভারতীয় হাতের রান্না’ ছুঁয়ে দেখতেও অস্বীকার করেছিলেন শিল্পার প্রতিদ্বন্দ্বী এক মডেল। ক্রমাগত আক্রমণের মুখে এক দিন ভেঙে পড়েন শিল্পা। ক্যামেরার সামনে তাঁর কাঁদার ছবি সম্প্রচারিত হওয়া মাত্র দেশে-বিদেশে শুরু হয় প্রতিবাদ। তাঁদের আচরণের জন্য পরে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন অনেকে।
শিল্পার ওই অভিজ্ঞতার প্রায় পাঁচ বছর পর এ বার মুখ খুললেন প্রিয়ঙ্কা।
ছোট্ট মেয়েটা বাবা-মায়ের সঙ্গে থাকত বরেলিতে। পড়াশুনো আর দস্যিপনা এই নিয়েই কেটেছিল স্কুল জীবন। হঠাৎই এক দিন দাঁড়ি পড়ল ছেলেবেলায়। দু’চোখে স্বপ্ন নিয়ে উচ্চ শিক্ষার জন্য ছোট শহরের মেয়েটা পাড়ি দিল বিদেশে। বরেলি থেকে সোজা বস্টন।
নতুন দেশ। অচেনা সব কিছুই। মায়ের আঁচল ছেড়ে আসা মেয়েটা অন্য পরিবেশে হয়তো কিছুটা জবুথবুই। বন্ধুদের ডাকে আরও সিঁটিয়ে গেল সে। সাদা চামড়ার সহপাঠীদের মধ্যে কেবল তার গায়ের রংই একটু চাপা। ‘ব্রাউনি’ বলে কি তাকেই ডাকছে? ঘোর কাটল পিছনে ফিরতেই। সত্যিই যে আঙুলটা তার দিকে তাক করা।
ভারতীয় বলে গঞ্জনা সহ্য করতে হবে! সেটাও আমেরিকার মতো প্রথম বিশ্বে! ভয়ে কুঁকড়ে যাওয়া মেয়েটাই রুখে দাঁড়াল এ বার। প্রথমে তর্কাতর্কি। দু’পক্ষই দমবে না। শেষে শুরু হল হাতাহাতি। খবর পেয়ে তিন দিনের জন্য তাকে সাসপেন্ড করে দিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
জীবনে খামতি তো থাকতেই পারে। কিন্তু আত্মবিশ্বাস যেন চিড় না খায় এক মুহূর্তের জন্যও। বরেলি- বস্টন হয়ে বলিউড, নিজের তিরিশ বছরের জীবনের এই অভিজ্ঞতাই গত কাল প্রায় শ’খানেক ছাত্রছাত্রীর সঙ্গে ভাগ করে নিলেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া।
বর্ণ-বিদ্বেষের শিকার হয়েও পড়া ছেড়ে চলে আসেননি। বরং এই ঘটনাই আরও প্রত্যয়ী করেছে তাঁকে, জানিয়েছেন প্রিয়ঙ্কা।
এ-ও বললেন, ঐশ্বর্যা রাইয়ের মতো অসামান্য রূপসী নন। প্রচুর খুঁত রয়েছে তাঁর মধ্যে। সৌন্দর্য্য প্রতিযোগিতায় কী ভাবে হাঁটবেন, বা ক্যামেরার সামনে কতটা অভিনয় করলে তা সত্যি মনে হবে, জানতেন না কোনও কিছুই। করতে করতেই শিখে গিয়েছেন। খালি শেখার ইচ্ছেটা বজায় রেখেছিলেন আগাগোড়া।
হাল না ছাড়ার সেই মন্ত্রই পরের প্রজন্মকে শিখিয়ে গেলেন প্রিয়ঙ্কা।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.