কাবুলে ন্যাটো সদর দফতরের সামনে আত্মঘাতী বিস্ফোরণে ৬ জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা পাঁচ।
পুলিশ জানিয়েছে, হামলার দায় স্বীকার করেছে তালিবান।
কাবুলে ন্যাটো বাহিনীর সদরের কাছেই মার্কিন গোয়েন্দা দফতর, মার্কিন ও ইতালীয় দূতাবাস এমনকী, আফগান প্রেসিডেন্টের বাসভবনও। তবে কাবুলের সুরক্ষিত এলাকায় আগেও হামলা চালিয়েছে জঙ্গিরা। আজ সকাল পৌনে বারোটা নাগাদ ন্যাটোর সদরের কাছে হামলা চালায় এক আত্মঘাতী জঙ্গি। তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদের দাবি, আত্মঘাতী জঙ্গি লোগার প্রদেশের এক ২৮ বছরের যুবক। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা বিস্ফোরণের আগে এক ১২-১৪ বছরের এক কিশোরকে ব্যাগ নিয়ে ওই এলাকার দিকে যেতে দেখেছেন বলে জানা গিয়েছে।
ন্যাটো বাহিনীর মুখপাত্র জ্যামি গ্রেবিল জানিয়েছেন, বাহিনীর কোনও সদস্যের হতাহত হওয়ার কথা তাঁর জানা নেই। আফগান অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকও জানিয়েছে, নিহতরা সকলেই সাধারণ আফগান নাগরিক। অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী সেদিক সিদ্দিকির দাবি, এই হামলা চালিয়েছে হক্কানি জঙ্গি গোষ্ঠী। গত কাল হক্কানি গোষ্ঠীকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে আমেরিকা। আফগান সরকারের মতে, ন্যাটো সদর দফতরের কাছে মার্কিন গোয়েন্দা দফতর লক্ষ করেই হামলা চালিয়েছিল জঙ্গিরা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে পাকিস্তান।
দক্ষিণ আফগানিস্তানেও আজ দু’টি বিস্ফোরণে দুই মহিলা-সহ চার জন নিহত হয়েছেন। উরুজুগান প্রদেশের রাজধানী তিরিন কোটে বিস্ফোরণে নিহত হয়েছেন দুই উপজাতীয় নেতা। হেলমন্দ প্রদেশের নাহরি সরাজ জেলায় বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন দুই মহিলা। এখনও এই দু’টি ঘটনার দায় স্বীকার করেনি কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী। |