এক পর্ব শেষ হয়েছে। শুরু হয়েছে আর এক পর্ব। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের চূড়ান্ত পর্বে এ বার সরাসরি প্রচার-যুদ্ধে নামলেন বারাক ওবামা ও মিট রোমনি।
শুক্রবার দু’পক্ষের চাপানউতোরই বুঝিয়ে দিয়েছে, আপাতত অর্থনীতি নিয়েই লড়াই করবেন ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানরা।
মার্কিন অর্থনীতির রাহুর দশা নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেক কথা বলেছেন ওবামা ও রোমনি। কিন্তু, বিতর্কে ইন্ধন জুগিয়েছে শ্রম দফতরের নতুন হিসেব। জুলাই মাসের তুলনায় অগস্টে বেকারির হার কমেছে ঠিকই। কিন্তু, তথ্য বলছে এই হার কমে যাওয়ার কারণ প্রার্থীর সংখ্যা হ্রাস। অর্থাৎ, কাজ খুঁজছেন অনেক কম সংখ্যক মানুষ।
অগস্টে আমেরিকায় ৯৬ হাজার নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হয়েছে। কিন্তু, অন্তত ১ লক্ষ ২০ হাজার চাকরির সুযোগ তৈরি হবে বলে আশ্বাস দিয়েছিলেন অর্থনীতিবিদরা।
শ্রম দফতরের হিসেবকে কাজে লাগিয়ে ওবামার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন রোমনি। শুক্রবার প্রথমে আইওয়া রাজ্যের অরেঞ্জ সিটি ও পরে নিউ হ্যাম্পশায়ারের নাশুয়ায় সভায় যোগ দেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, শ্রম দফতরের হিসেব অত্যন্ত হতাশাজনক। ওবামার যে সব নীতির জন্য দেশে বেকারের সংখ্যা ও আর্থিক ঘাটতি বেড়েছে সেগুলির কথাই তিনি ফের বলছেন বলে দাবি রোমনির। তাঁর মতে, মার্কিন নাগরিকরা জানেন তাঁদের অবস্থা বদলায়নি। তা-ই তাঁরা ওবামাকে উপযুক্ত জবাব দেবেন। |
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইওয়া ও নিউ হ্যাম্পশায়ারে শুক্রবার প্রচার চালান ওবামা ও ভাইস-প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। নিউ হ্যাম্পশায়ারের পোর্টসমাউথের সভায় রোমনিকে জবাব দেওয়ার চেষ্টা করেন প্রেসিডেন্ট। তাঁর দাবি, গত ৩০ মাস ধরে ক্রমাগত নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে চলেছে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলি। তবে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির হার যে প্রত্যাশার চেয়ে অনেক কম তা মেনে নিয়েছেন ওবামা।
প্রেসিডেন্টের বক্তব্য, অর্থনীতিকে সামাল দিতে আরও দ্রুত এগোনো প্রয়োজন। কিন্তু, রোমনি নির্বাচিত হলে ভোল বদলে যাবে গোটা আমেরিকারই। ‘পরিবর্তনে’র স্বপ্নকে হাতিয়ার করে ক্ষমতায় এসেছিলেন আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট ওবামা। তাঁর সতর্কবাণী, রোমনি নির্বাচিত হলে পরিবর্তনের স্বপ্নই বানচাল হয়ে যাবে। অর্থনীতির হাল ফেরাতে বেশ কয়েক বছর সময় লাগতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি। ওবামা শিবিরের দাবি, আটটি গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের মধ্যে ফ্লোরিডা ও নিউ হ্যাম্পশায়ারে সামান্য এগিয়ে রয়েছেন প্রেসিডেন্ট। রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের মতে, বাকি ছ’টি রাজ্য নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করা সম্ভব নয়। ফলে, আগামী ৬০ দিনের প্রচারসূচির দিকে তাকিয়ে রয়েছে দু’দলই। |