অস্বাভাবিক মৃল্যবৃদ্ধির মোকাবিলায় কলকাতার পরে এবার উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় রেশনে সুলভ মূল্যে আলু বিক্রির ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হয়েছে খাদ্য সরবরাহ দফতর। আজ, বৃহস্পতিবার থেকে জলপাইগুড়ির বিভিন্ন রেশন দোকান থেকে ওই আলু বিক্রি শুরু হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে দার্জিলিং জেলায় রেশনে আলু সরবরাহের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। খাদ্য সরবরাহ দফতরের দার্জিলিং জেলা আধিকারিক বৈদ্যনাথ সরকার বলেন, “আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যে রেশন দোকানের মাধ্যমে সুলভ মূল্যে আলু সরবরাহের কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। ওই বিষয়ে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।” দফতরের জলপাইগুড়ি মহকুমা আধিকারিক মৃণালকান্তি মিত্র বলেন, “অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি মোকাবিলায় বৃহস্পতিবার থেকে রেশন দোকানে আলু সরবরাহ শুরু হবে।” খাদ্য সরবরাহ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, খোলা বাজারে ১৫ টাকা থেকে ১৬ টাকা কিলোগ্রাম দরে আলু বিক্রি চলছে। অথচ পাইকারি বাজারে ওই আলু পাওয়া যাচ্ছে ১২ টাকা থেকে ১৩ টাকা কিলোগ্রাম দামে। অভিযোগ, ফড়েদের দৌরাত্ম্য খুচরো ও পাইকারি বাজারে আলুর দামের ওই তফাতের কারণ। কলকাতায় ওই পরিস্থিতি মোকাবিলায় সম্প্রতি রেশনে আলু সরবরাহ শুরু হয়েছে। উত্তরবঙ্গের বাজারের বিভিন্নভাবে অভিযান চালানোর পরেও আলুর মূল্যবৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব না হওয়ায় খাদ্য সরবরাহ দফতরের দর্জিলিং জেলা ও জলপাইগুড়ি মহকুমা কর্তৃপক্ষ রেশন দোকানের মাধ্যমে আলু সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেন। জলপাইগুড়ি মহকুমায় বৃহস্পতিবার থেকে রেশন দোকানে মিলবে আলু। প্রাথমিকভাবে দাম ঠিক হয়েছে ১২ টাকা কিলোগ্রাম। মাথাপিছু ১ কিলোগ্রাম আলু দেওয়া হবে। কিন্তু এ ভাবে কতদিন আলু সরবরাহ করা হবে সেই বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। মহকুমার হিমঘরগুলিতে কত আলু মজুত রয়েছে সেটা খতিয়ে দেখে তা ঠিক করবেন খাদ্য সরবরাহের কর্তারা। মহকুমা আধিকারিক বলেন, “আলুর মজুত খতিয়ে দেখার কাজ শুরু হয়েছে। সেটা জানার পরে বলতে পারব কতদিন রেশনে আলু দেওয়ার কাজ চলবে।” জেলা খাদ্য সরবরাহ দফতরের আধিকারিকরা আলুর মজুত খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছেন। আজ, বৃহস্পতিবার ওই বিষয়ে তাঁরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নেবেন কবে থেকে শিলিগুড়ির রেশন দোকানগুলিতে আলু মিলবে। জেলা আধিকারিক বলেন, “আশা করছি চলতি সপ্তাহের শেষে অথবা আগামী সপ্তাহের শুরু থেকে রেশনে আলু সরবরাহ সম্ভব হবে। বৃহস্পতিবার ওই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” |