|
|
|
|
আন্ত্রিকের প্রকোপ, অসুস্থ অনেকে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • হুড়া |
আন্ত্রিক ছড়াতে শুরু করেছে হুড়া ব্লকের পুখুরিয়া গ্রামে। স্থানীয় সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই ওই গ্রামে শতাধিক মানুষ আন্ত্রিকে আক্রান্ত। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে অবশ্য আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ বলা হয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা চলছে। বর্তমানে ১৮ জন গ্রামবাসী হুড়া গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি রয়েছেন। গ্রামে মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়েছে।
হুড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এই গ্রামে গত সোমবার থেকে আন্ত্রিকের প্রকোপ শুরু হয়েছে। চার-পাঁচটি পাড়া নিয়ে গ্রামের জনসংখ্যা প্রায় ১২০০। নামোপাড়াতেই এই রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দা ভাদরি মাহাতো, গুণধর সহিস, পরেশ মাহাতোরা জানান, রবিবার রাতে কারও কারও বমি-পায়খানা শুরু হলেও সোমবার সকাল থেকেই বিভিন্ন বাড়ি থেকে একই উপসর্গ নিয়ে লোকজন হাসপাতালে ছুটতে শুরু করেন। নামোপাড়ার শকুন্তলা সিংহ পাতর বলেন, “আমার দুই ছেলে আর স্বামী আক্রান্ত। সকলেই হাসপাতালে ভর্তি।” |
|
জলের নমুনা সংগ্রহ। ছবি: প্রদীপ মাহাতো |
কী ভাবে আন্ত্রিক ছড়াল, জানতে চাওয়ায় শকুন্তলাদেবী বলেন, “আমরা পুকুরের জল রান্নার কাজে মাঝেমধ্যে ব্যবহার করি। কখনও এ রকম হয়নি। এ বার কেন হল বুঝতে পারছি না।” আন্ত্রিকে আক্রান্ত পঞ্চায়েত প্রধান সবিতা মাহাতো নিজেও। বললেন, “গ্রামের অনেক মানুষ পানীয় জল হিসেবে নলকূপের জল ব্যবহার করলেও রান্নার কাজে অনেক সময় পুকুরের জল, কখনও বা কুয়োর জল ব্যবহার করেন। তা থেকে ছড়িয়েছে কি না জানি না।”
খবর পেয়ে গ্রামে যান হুড়ার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবশঙ্কর হাঁসদা। তিনি জানান, গ্রামে স্বাস্থ্যকর্মীরা শিবির করেছেন। ওষুধও দেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে কয়েক জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত হওয়ার খবর নেই। পুকুরের জল ও আরও কিছু জলের নমুনা পরীক্ষার জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। দেবশঙ্করবাবু বলেন, “প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে পুকুরের জল থেকেই আন্ত্রিক ছড়িয়েছে।” হুড়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বাসুদেব মান্ডি বলেন, “আপাতত ওই পুকুরের জল মানুষ যাতে ব্যবহার না করেন, তা প্রচার করছি।” গ্রামবাসী চক্রধর মাহাতোর অভিযোগ, হাসপাতালে স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছে না। অনেককে বাইরে থেকে কেনার জন্য বলা হচ্ছে। অভিযোগ অস্বীকার করে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, স্যালাইন পর্যাপ্ত পরিমাণে ছিল না, তা সত্যি। কিন্তু কাউকে বাইরে থেকে কিনতে বলা হয়নি। পাশের ব্লক কাশীপুর থেকে এনে অবস্থা সামাল দেওয়া হয়েছে। |
|
|
|
|
|