নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
অনিয়ম রয়েছে তদন্তে জানার পরেও সংখ্যা গরিষ্ঠতার জেরে ১১টি বহুতলের নকশা পুর কর্তৃপক্ষ অন্যায় ভাবে অনুমোদন করেছেন বলে অভিযোগ তুলল বিরোধী বামেরা। বুধবার নুরুল ইসলামের নেতৃত্বের কয়েকজন বাম কাউন্সিলর এ ব্যাপারে পুর কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন। এমনকী ক্ষমতাসীন জোটের কংগ্রেস, তৃণমূলের অনেক মেয়র পারিষদ তথা কাউন্সিলরও ওই বহুতলগুলির নকশা অনুমোদনের বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি। বিল্ডিং বিভাগের মেয়র পারিষদ সীমা সাহা অবশ্য পাল্টা অভিযোগ করেছেন, “বহুতলের নকশা পাশ করাতে বিশেষ কমিটি আছে। তারা অনুমোদন দেওয়ার পর এই নকশা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে।” পুরসভারই একটি সূত্র জানিয়েছে, নকশা অনুমোদনের আগে কাজ শুরু করা-সহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় ডেপুটি মেয়র, পুর কমিশনার-সহ পুরসভার একটি দল সরেজমিনে তদন্ত করে। সংশ্লিষ্ট নির্মাণকারীদের চিঠি পাঠিয়ে অনিয়মের কথা জানিয়ে কেন তাদের ‘প্ল্যান’ অনুমোদন করা হবে তা জানতে চাওয়া হয়। সন্তোষজনক উত্তর মেলেনি বলে ক্ষমতাসীন জোট কংগ্রেস-তৃণমূল মেয়র পারিষদ এবং কাউন্সিলরদের অনেকেই জানিয়েছেন। এমনকী নির্মাণকারী সংস্থাগুলির কর্তৃপক্ষের একাংশ নকশা অনুমোদনের আগে কাজ শুরু করার জন্য দুঃখও প্রকাশ করেন। তার পরেও পুরসভার মাসিক সভায় অন্যায় ভাবে তা পাশ হয়েছে বলে অভিযোগ। পুর কমিশনার প্রভুদত্ত ডেভিড প্রধান বলেন, “প্রশ্ন ওঠায় বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মেয়রকেও জানানো হয়েছে।” মে মাসের বোর্ড মিটিংয়ে ডেপুটি মেয়র ১০ টি বহুতলের এবং কংগ্রেস কাউন্সিলর সুজয়বাবু ১টি বহুতলের নকশা নিয়ে আপত্তি তোলেন। বামেরাও বাধা দেওয়ায় তা আটকে রাখা হয়। জুনের বোর্ড মিটিংয়ে ফের ওই বহুতলগুলির নকশা পেশ হলে বামেদের পাশাপাশি কংগ্রেস কাউন্সিলর স্বপন চন্দ, সবিতা অগ্রবাল, সুজয় ঘটকরাও বিরোধিতা করেন। শেষ পর্যন্ত তা পাশ হয়। বিরোধী দলনেতা মুন্সি নুরুল ইসলাম জানান, অনিয়ম থাকা নকশাগুলির অনুমোদন মানতে না পেরে তিনি পুর কমিশনারকে জানিয়েছেন। সীমাদেবী পাল্টা দাবি করেন, প্রথম দফায় খতিয়ে দেখতে যে বাস্তুকাররা গিয়েছিলেন তাঁরা কোনও অসঙ্গতি পাননি। অথচ মেয়র পারিষদের বৈঠকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তা পাশ করাতে বাধা দেন ডেপুটি মেয়র রঞ্জন শীলশর্মা, কৃষ্ণ পালরা। রঞ্জনবাবু পাল্টা বলেন, “অনিয়ম রয়েছে বলেই বাধা দেওয়া হয়েছিল।” অপর মেয়র পারিষদ কৃষ্ণ পাল বলেন, “আমরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বাধা দিচ্ছি বলে সীমাদেবীর মনে করলে তিনি দলীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ করতে পারেন। যেখানে অনিয়ম রয়েছে আমরা কখনই তা অনুমোদনে মত দেব না।” |