নিজস্ব সংবাদদাতা • মালবাজার |
মহকুমা প্রশাসনের প্রস্তাবিত নতুন কার্যালয় তৈরির জন্য জমি চিহ্নিত হওয়ায় পর এখন তা অন্যত্র পরিবর্তন করতে সমস্যা আছে বলে জানালেন মহকুমাশাসক। বুধবার এ কথা জানিয়েছেন মহকুমাশাসক দেবযানী ভট্টাচার্য। শহরে জমি না পেয়ে মালবাজার মহকুমা প্রশাসনের তরফে কার্যালয় তৈরির জন্য শহর থেকে ৫ কিমি দূরে বিধাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের শালবাড়ি এলাকায় জমি চিহ্নিত করা হয়। পুর এলাকার বাইরে মহকুমা শাসকের দফতর স্থানান্তরের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত রদ করার দাবিতে কমিটি গড়ে আন্দোলন শুরু করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। এই পরিস্থিতিতে মালবাজার শহরে থাকা ডাকবাংলো ময়দান লাগোয়া ৫ একর জমি জেলা পরিষদের তরফে ওই কাজের জন্য মহকুমা প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গত ৯ জুলাই জেলা পরিষদের তরফে মহকুমাপ্রশাসনকে চিঠি পাঠিয়ে সে কথা জানিয়েও দেওয়া হয়। এ দিন মহকুমাশাসক বলেন, “শালবাড়ি এলাকায় চিহ্নিত জমিতে প্রশাসনিক ভবন তৈরির অনুমোদন প্রক্রিয়া অনেক এগিয়েছে। এখন জায়গা পরিবর্তন করে ডাকবাংলো ময়দান লাগোয়া জায়গায় মহকুমা প্রশাসনের কার্যালয় করা সম্ভব নয়। তবে সেখানে রবীন্দ্রভবন বা ইন্ডোর স্টেডিয়াম করা যেতে পারে। জেলা পরিষদ কর্তৃপক্ষকে তা জানিয়ে এ দিন চিঠিও পাঠিয়েছি।” জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের সভাপতি দীপ্তি দত্ত জানান, এলাকার বাসিন্দাদের অনেকের ধারণা জেলা পরিষদ জমি দিচ্ছে না বলে উন্নয়নের ওই কাজে সমস্যা হচ্ছে। সেই ধারণা ভাঙাতেই জেলা পরিষদের তরফে ওই জমি তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মহকুমাশাসকের বক্তব্যে খুশি নয় মহকুমা দফতর শহরের বাইরে নিয়ে যেতে যারা বিরোধিতা করছেন সেই মালবাজার মহকুমা উন্নয়ন মঞ্চ এবং মালবাজার মহকুমা নাগরিক উন্নয়ন কমিটি। নাগরিক উন্নয়ন কমিটির অন্যতম পুলিন গোলদার বলেন, “কোথায় প্রশাসনিক কার্যালয় হবে, আর কোথায় রবীন্দ্রভবন হবে সে ক্ষেত্রে বাসিন্দাদের দাবিকেই গুরুত্ব দিতে হবে। তা না হলে মহকুমা শাসকের দফতর ঘেরাও করে আন্দোলন করব।” মহকুমা উন্নয়ন মঞ্চের সম্পাদক দেবীপ্রসাদ অগ্রবাল জানান, শহরেই যাতে মহকুমাপ্রশাসনের দফতর হয় সে জন্য তাঁরা জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে দাবি জানিয়েছেন। |