নিজস্ব সংবাদদাতা • শিলিগুড়ি |
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের শিলিগুড়ির দফতর ঘেরাও করে বুধবার দুপুরে সাত দিনের মধ্যে রাস্তা সারানোর দাবি তুলল তৃণমূল। মঙ্গলবারেই দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামতে বলেছিলেন তৃণমূল সদস্যদের।
কয়েকদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জয়নারায়ণ পটেলও মাদারিহাটে রাস্তা বেহাল দশায় ক্ষুব্ধ হয়ে নিজেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। তারপরে মুখ্যমন্ত্রী ওই দিন বাগডোগরা থেকে সড়ক পথে কোচবিহার যাওয়ার সময়ে বেহাল রাস্তা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। বলেছিলেন, “বেশ কিছু রাস্তা মরণফাঁদের মতো হয়ে রয়েছে।” তখনই তিনি দলের কর্মীদের কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে লাগাতার আন্দোলনের নির্দেশ দেন। সেই মতো এই দিন দুপুরে শিলিগুড়ির দুই মাইলে দফতর ঘেরাও করে আন্দোলন শুরু করেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। |
শিলিগুড়িতে এনএইচএআই দফতরে তৃণমূলের বিক্ষোভ। ছবি: কার্তিক দাস |
উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “আমরা সাত দিন অপেক্ষা করব। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় জাতীয় সড়কের হাল না-ফেরালে আমি নিজে ওই সড়ক কর্তৃপক্ষের অফিসের সামনে অবস্থানে বসব। যতক্ষণ না-রাস্তা সারানোর কাজ হয়, ততক্ষণ আন্দোলন চালানো হবে। যেখানে মানুষকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রোজ যাতায়াত করতে হচ্ছে, সেখানে গড়িমসি বরদাস্ত করা হবে না।”
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের শিলিগুড়ির প্রকল্পের আধিকারিক পঙ্কজ মিশ্র অবশ্য বলেন, “ফুলবাড়ি থেকে সলসলাবাড়ি পর্যন্ত ১২৫ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে ২২ কিলোমিটার বেহাল রাস্তা মেরামতির টেন্ডার আগেই হয়ে গিয়েছে। বন্ধুনগর লাগোয়া এলাকায় কিছুটা অংশে মেরামতি করা হলেও প্রবল বৃষ্টিতে ফের গর্ত তৈরি হয়েছে। একটি রাজ্য সড়ককে ‘জাতীয়’ ঘোষণা করা হলেও জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সমস্যার জেরে কোনও কাজই এখনও করা যায়নি। চার লেনের সড়ক তৈরির কাজ যতক্ষণ না-হচ্ছে সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়।” তবুও তাঁরা জরুরি ভিত্তিতে রাস্তার হাল ফেরানোর চেষ্টা করছেন বলে পঙ্কজবাবু আশ্বাস দেন। সম্প্রতি বীরপাড়া-মাদারিহাট বেহাল রাস্তা পুনর্নিমাণের জন্যও কেন্দ্র ২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। |