নিজস্ব সংবাদদাতা • বহরমপুর |
গত এক বছরে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার ছবিটা তুলে ধরতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের পরিসংখ্যান ছিল, রাজনৈতিক খুনের সংখ্যা ৮২। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ ছিল সেই পরিসংখ্যান ‘ভুল’। সুব্রতবাবুর দেওয়া তথ্য বলছে সংখ্যাটা ৯।
তাকে ‘চ্যালেঞ্জ’ জানিয়ে বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী বুধবার সাংবাদিকদের ডেকে জানিয়ে দিলেন, গত বিধাসসভা ভোটের পর থেকে গত এক বছরে মুর্শিদাবাদ জেলাতেই রাজনৈতিক -খুন হয়েছেন কংগ্রেসের ১২ জন কর্মী। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, “কংগ্রেস কর্মীদের খুনের ঘটনা লঘু করে দেখানোর জন্য মুর্শিদাবাদ জেলার পুলিশ সুপার তৃণমূল কর্মীর ভূমিকায় নেমেছেন। তিনি ওই সব খুন অরাজনৈতিক বলে বিবৃতি দিচ্ছেন। ‘মার্ডার
|
অধীর চৌধুরী। |
সিন্ডিকেট’-এর সদস্য হিসাবে দেখিয়ে নিরপরাধ কংগ্রেস কর্মীদের গ্রেফতার করার পর ধৃতদের কাছ থেকে গাঁজা ও জাল টাকা পাওয়া গিয়েছে বলে মিথ্যা মামলাও সাজাচ্ছেন।”
পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আগামী শনিবার জেলার ১৪ জন দলীয় বিধায়ক পুলিশ সুপার ও জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেবেন বলেও অধীর জানান।
মুর্শিদাবাদের পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, “যাঁরা খুন হয়েছেন তাঁরা কংগ্রেস কর্মী হলেও খুনের কারণ কিন্তু রাজনৈতিক নয়। ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীগত এমনকী পুরনো খুনোখুনির জেরে ওই সব খুন।” ‘মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ’-এর পর আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মীয়মান ‘মুর্শিদাবাদ ক্যাম্পাস’ সব দলের কাজেই রাজনৈতিক ইস্যু হয়ে উঠেছে। ওই ক্যাম্পাসের কাজ বন্ধ থাকার প্রতিবাদে সোস্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অব ইন্ডিয়ার এসডিপিআই) ডাকে বুধবার মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে ১২ ঘণ্টার বন্ধ পালন করা হয়। এ দিন রবীন্দ্রসদনে অরাজনৈতিক একটি সংস্থার উদ্যোগে সেমিনারও হয়।
১৯৭৫ সালে আহিরণে কেন্দ্রীয় সংস্থা ফরাক্কা ব্যারাজ প্রজেক্ট বিপুল পরিমান জমি অধিগ্রহণ করে। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মুর্শিদাবাদ ক্যাম্পাস’-এর ভবন নির্মাণেরজন্য ওই জমি ফরাক্কা ব্যারাজ প্রজেক্ট রাজ্যকে হস্তান্তর করে। রাজ্য সেই জমি আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়কে দেয়। তারপরও কেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মীয়মান ‘মুর্শিদাবাদ ক্যাম্পাস’-এর কাজ থমকে রয়েছে?
অধীরের দাবি, “সংখ্যালঘুদের জন্য কংগ্রেস, বা প্রণববাবু কিছুই করেনি, যা করছে সব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর দল এ রকম একটি বাতাবরণ তৈরির চেষ্টা চলছে।” |