|
|
|
|
বহু প্রতীক্ষিত ডেবরা-সবং রাস্তা সংস্কারে অর্থ বরাদ্দ |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
দীর্ঘ দিন ধরেই বেহাল হয়ে পড়েছিল ডেবরা থেকে সবং রাস্তাটি। ২৬.৮ কিলোমিটার দীর্ঘ রাস্তায় খানাখন্দের মধ্যে দিয়ে ঝুঁকি নিয়েই চলছিল যানবাহন। শুধু তাই নয়, রাস্তা-নির্মাণে প্রযুক্তিগত ত্রুটি ছিল বলেও অভিযোগ। একটু দ্রুত গতিতে গাড়ি চলাচল করলেই নিয়ন্ত্রণ রাখা কঠিন হত। ফলে প্রায়ই দুর্ঘটনাও ঘটে। এ বার ওই রাস্তা সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছে সরকার। নতুন করে রাস্তা তৈরির পাশাপাশি তিনটি নতুন সেতুও তৈরি হবে। সংস্কার করা হবে একটি সেতু। সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ১০৪ কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে। প্রশাসন জানিয়েছে, বর্ষার পরেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। বষার্র মধ্যেই যাতে দরপত্র আহ্বান থেকে যাবতীয় প্রস্তুতি-কাজ শেষ করে রাখা যায়, সে জন্যও পদক্ষেপ করা হচ্ছে। পূর্ত দফতরের খড়্গপুর বিভাগের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র তপন সাহা বলেন, “রাস্তা তৈরির জন্য সরকার অর্থ মঞ্জুর করেছে। রাস্তা নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ শুরু হচ্ছে।” |
|
—নিজস্ব চিত্র |
ডেবরা-সবং রাস্তাটি অতি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ওই পথ দিয়ে কেবল সবং নয়, পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরেও যাওয়া যায়। তার বাইরেও ডেবরা থেকে মুণ্ডুমারি পর্যন্ত পিংলা ও পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নাগামী যানবাহনও যাতায়াত করে। যাত্রিবাহী বাসের পাশাপাশি পণ্যবাহী ছোট-বড় যানবাহনও চলে প্রচুর। কিন্তু রাস্তা খারাপ থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। সবং এমনিতেই বন্যা-প্রবণ এলাকা। সামান্য বৃষ্টিতেই সবংয়ের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। সেই সময়ে রাস্তার মাঝে থাকা চাতালগুলির উপর দিয়ে জল বইতে থাকে। তখন বাস চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় এক প্রান্তের সঙ্গে অন্যপ্রান্তের যোগাযোগ। সাধারণ মানুষ ও নিত্যযাত্রীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। কিন্তু রাস্তাটি ভাল থাকলে ও ৩টি সেতু করা গেলে বড় মাপের বন্যা ছাড়া সহজে বাস বন্ধ থাকবে না। ফলে এই দাবিতে রাস্তা সংস্কারের জন্য বারেবারেই দাবি তুলেছেন সবংয়ের বিধায়ক তথা অধুনা রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভুঁইয়া। অবশেষে কেন্দ্রীয় সড়ক তহবিল থেকে ওই রাস্তা সংস্কারের পাশাপাশি বাড়জীবন, ফতেপুর ও গোদাবাজারে তিনটি সেতু তৈরির জন্যও অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। ৭ মিটার চওড়া রাস্তা ও তিনটি সেতুর জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ১০৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। মানসবাবু বলেন, “কেন্দ্রীয় সড়ক তহবিল থেকে রাস্তা সংস্কার ও সেতু তৈরির টাকা মিলছে। বর্ষা পেরোলেই যাতে দ্রুত গতিতে কাজ শুরু হয় সে জন্য উদ্যোগ শুরু হয়েছে।” |
|
|
|
|
|