|
|
|
|
বোমা ফাটিয়ে তৃণমূলের পাল্টা মিছিল কেশপুরে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
কেশপুরের যে এলাকায় মঙ্গলবার বন্ধ পার্টি-অফিস খুলেছিল সিপিএম, সেই আনন্দপুরেই বুধবার বোমা-পটকা ফাটিয়ে মিছিল ও সভা করল তৃণমূল। উপলক্ষ, ২১ জুলাই ধর্মতলায় ‘শহিদ-স্মরণ সমাবেশে’র প্রচার কর্মসূচি। অন্তত প্রকাশ্যে কেশপুর ব্লকের তৃণমূল নেতারা তাই বলছেন।
মঙ্গলবারই আনন্দপুরে মিছিল করে ১৪ মাস ধরে বন্ধ থাকা পার্টি-অফিস খুলেছিলেন সিপিএম নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা। সেই পার্টি-অফিসে জনা ষাটেক কর্মী থাকতে শুরুও করেছেন। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেশপুরের মতো স্পর্শকাতর এলাকায় সিপিএমের এই ‘ফেরা’ ঘিরে কপালে ভাঁজ পড়েছে প্রধান শাসক দলের। সে কারণেই তড়িঘড়ি বুধবার বিকেলের এই ‘পাল্টা’ মিছিলের আয়োজন বলে তৃণমূলের দলীয় সূত্রের খবর। |
|
কেশপুরের আনন্দপুরে তৃণমূলের মিছিল। —নিজস্ব চিত্র |
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব কেশপুরের ব্লক নেতৃত্বের কিছু কাজকর্মে ‘অনাস্থা’ প্রকাশ করে আপাতত কোনও কর্মসূচি থেকে বিরত থাকতেই বলেছিলেন। তার পরেও এলাকায় সংগঠন ও ‘রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ’ ধরে রাখা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়া ব্লক-তৃণমূল নেতৃত্ব গোষ্ঠী-বিবাদ সরিয়ে রেখেই এ দিনের মিছিলের আয়োজন করেন। অনুগামীদের নিয়ে মিছিলে ছিলেন বর্তমান ব্লক সভাপতি আশিস প্রামাণিক এবং প্রাক্তন ব্লক সভাপতি চিত্ত গড়াই। যে দুই নেতার অনুগামীদের দ্বন্দ্বে বারবার অশান্ত হয়েছে কেশপুর। আশিসবাবুর বক্তব্য, “সিপিএম নতুন করে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে। ওদের আনন্দপুরের কার্যালয়ের মধ্যে এমন অনেকে রয়েছে, যাদের এলাকার কেউ চেনে না। বিষয়টি আমরা পুলিশকেও জানিয়েছি।” চিত্তবাবুও বলেন, “সিপিএম অনেক সন্ত্রাস করেছে। অত্যাচার করেছে। কেশপুরের মানুষ আর সে সব দিন দেখতে চায় না।”
প্রকাশ্যে ব্লক তৃণমূল নেতারা মিছিলের উদ্দেশ্য হিসাবে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের প্রচারের কথাই বলছেন। যদিও সিপিএমের অভিযোগ, সন্ত্রাস ছড়াতেই বোমা-পটকা ফাটিয়ে এ দিন আনন্দপুরে মিছিল করেছে তৃণমূল। মিছিলের জন্য বাইরে থেকে লোকজনও জড়ো করেছে শাসকদল। কেশপুরের সিপিএম বিধায়ক রামেশ্বর দোলুই বলেন, “সাধারণ মানুষ অশান্তি চান না। আমরা চাই, সব দলই মিটিং-মিছিল করুক। এলাকায় গণতন্ত্র থাকুক। তৃণমূলের মিছিল নিয়ে কিছু বলার নেই। তবে পটকা না ফাটালেই ভাল হত।” আশিসবাবুদের দাবি, পটকা ফাটানো হয়নি। |
|
|
|
|
|