সভায় যাওয়ার জন্য সে সময় তৈরি হচ্ছিলেন টোলগে ওজবে। যুবভারতীতে পুলিশ ভ্যান হাজির। বেশ কিছু পুলিশ সেখানে উপস্থিত। গুটিকয়েক উৎসাহী ফুটবলপ্রেমীও আসতে শুরু করেছেন।
তখনই খবর এল, ইস্টবেঙ্গল কর্তারা টোলগের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি নন। ঘণ্টা দু‘য়েক আগেই সভা বাতিল। ফলে এখন টোলগে বিতর্ক মেটাতে একমাত্র রাস্তা রইল শনিবারের আই এফ এ-র প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির বৈঠক। তবে সেখানে একটা সভায় এর নিষ্পত্তি হওয়ার প্রশ্ন নেই। আরও সময় লাগবে। আই এফ এ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, দু’সপ্তাহের মধ্যে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। |
ইস্টবেঙ্গল কর্তারা সকাল থেকেই টোলগের এক মন্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দেন। টোলগে সেখানে বলেছিলেন, “আই এফ এ সচিবের সম্মান রক্ষার্থেই সভায় যাচ্ছি।” তা হলে আর সভার কী দরকার, প্রশ্ন তুলে আই এফ একে চিঠি দিয়ে দেন ইস্টবেঙ্গল কর্তারা। আই এফ এ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় চিঠি পেয়ে সভা বাতিল করে দেন। বলেন, “ইস্টবেঙ্গল বলেছে, ‘আপনি যদি বোঝেন টোলগের মনোভাব অন্য রকম, তা হলেই আমরা সভায় বসব।’ আমি টোলগের মনোভাব কী করে বুঝব? তাই সভা বাতিল করে দিয়েছি।”
সভা বাতিলের খবর পেয়ে কী প্রতিক্রিয়া টোলগের? হতাশ, সন্দেহ নেই। তিনি আইএফএ সচিবকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, “আমি সভা বাতিলের খবর পেয়ে আশ্চর্য। ইস্টবেঙ্গলের কর্তাদের মনোভাব দেখে স্তম্ভিত। দ্রুত মাঠে ফিরতে চাই। ফুটবল নিয়মের উপর, প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির উপর আস্থা আছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আপনাকে দ্রুত কমিটির সিদ্ধান্ত নিতে অনুরোধ করছি। আমি মোহনবাগানের হয়ে খেলতে না পেরে, নথিবদ্ধ হতে পেরে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত।”
এটা স্পষ্ট, টোলগে নিয়ে ভবিষ্যতে কোনও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রইল না। মোহন সচিব অঞ্জন মিত্র, অর্থ সচিব দেবাশিস দত্তের মন্তব্য, “ইস্টবেঙ্গল পালিয়ে গেল। ওরা তথ্য দিতে পারবে না জেনেই সভায় গেল না।” শুনে ইস্টবেঙ্গল কর্তা দেবব্রত সরকারের প্রতিক্রিয়া, “আমার কাছে প্রমাণ রয়েছে, ওই কথাগুলো টোলগে আই এফ এ সচিবকেও বলেছে।”
সকালে যখন মোহনবাগান মাঠে নতুন কোচ সন্তোষ কাশ্যপ প্র্যাক্টিস করাচ্ছেন, তখন ক্লাব তাঁবুর সামনে জমাট ভিড়। ওখানেই টোলগের সঙ্গে আলোচনারত মোহনবাগানের বড় কর্তারা। হাজির আইনজীবীরাও। টোলগে নিজে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি। তত দিনে খবর চলে এসেছে, ইস্টবেঙ্গল কর্তারা টোলগের রাতের মন্তব্য নিয়ে চিঠি পাঠাচ্ছেন। তাই টোলগে সতর্ক। ক্লাব প্রেসিডেন্ট টুটু বসু বেরোনোর সময় বলে গেলেন, “ইস্টবেঙ্গল জোচ্চুরি করেছে।” যা পরিস্থিতি, তাতে টোলগে বিতর্ক আপাতত আরও ক’দিন চলবে। |