টেমসের তীরে পদকের সন্ধানে
চিনাদের আর ভয় পাই না: সাইনা
প্রশ্ন একটাই। সাইনা নেহওয়াল ছাড়া আর কারও ব্যাডমিন্টনে পদক আনার সম্ভাবনা রয়েছে?
পুল্লেলা গোপীচন্দের মতো অনেকেই কিন্তু আশার কথা শোনাচ্ছেন। এই মুহূর্তে হায়দরাবাদে দুটি জায়গায় জোর প্রস্তুতি চলছে। গোপীচন্দের ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমিতে কঠোর অনুশীলনে ব্যস্ত সাইনা। লালবাহাদুর শাস্ত্রী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রবীণ কোচ মহম্মদ আরিফের কাছে ট্রেনিং নিচ্ছেন জ্বালা গাট্টা, অশ্বিনী পুনাপ্পা, ডিজুরা।
জাতীয় ব্যাডমিন্টন সংস্থার প্রেসিডেন্ট অখিলেশ দাস জোর দিয়ে বললেন, “কে কী বলছে আমি জানতে চাই না। আমি জানি এ বার শুধু সাইনা একা পদক জিতবে না। মেয়েদের ডাবলস জুটি জ্বালা গাট্টা-অশ্বিনী পুনাপ্পা অথবা ভারতের মিক্সড-ডাবলস জুটি জ্বালা গাট্টা-ডিজু জুটি। বা পুরুষ সিঙ্গলসে বর্তমানে দারুণ ফর্মে থাকা পারুপল্লি কাশ্যপের কাছ থেকে আর একটি পদক আসছে।”
সাইনা এ বছরের শুরুতে হেরেছেন অনেক জায়গায়। কিন্তু পরপর দুটি টুর্নামেন্ট জিতে আশা সৃষ্টি করেছেন। সকাল সাড়ে সাতটা থেকে সন্ধ্যে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত কয়েক দফায় অ্যাকাডেমিতে ঘাম ঝরিয়ে বাড়িতে ফেরা সাইনা হায়দরাবাদ থেকে ফোনে বললেন “তাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়ার পদকের কথা আমি আর মনে রাখতে চাই না। স্যারের অ্যাকাডেমিতে নিজেকে নিংড়ে দিচ্ছি। আমি আমার ছন্দটা সম্পূর্ণ ফিরে পেয়েছি। ইদানীং চিনের দুই বিশ্বসেরা খেলোয়াড় ওয়াং শিক্সিয়ান ও লি জুয়েরুইকে হারিয়ে দেওয়ার পর চিনাদের আর আমি ভয় পাইনা।” অলিম্পিকে কী হবে? সাইনা বললেন, “অলিম্পিকে ওরা প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করবে ঠিকই। কিন্তু তার জন্য আমি পুরোপুরি তৈরি। আমি কোনও ভবিষ্যদ্বাণীতে বিশ্বাসী নই। অলিম্পিকের আগে আমি কোনও চাপে নেই। উপরওয়ালার হাত মাথায় থাকলে ভারতবাসীর মুখে হাসি ফোটাতে পারব।”
এ বছরে সাইনার ফল
জানুয়ারি: কোরিয়ান সুপার সিরিজ কোয়ার্টার ফাইনাল।
জানুয়ারি: মালয়েশিয়া সুপার সিরিজ সেমি-ফাইনাল।
মার্চ: অল ইংল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইনাল।
মার্চ: এশিয়ান ব্যাডমিন্টন দ্বিতীয় রাউন্ড।
এপ্রিল: ইন্ডিয়া ওপেন দ্বিতীয় রাউন্ড।
জুন:তাইল্যান্ড গ্রাঁ প্রি ওপেন চ্যাম্পিয়ন।
জুন: ইন্দোনেশিয়া ওপেন চ্যাম্পিয়ন।
কোর্টের নড়াচড়ায় গতি আনতে মাঝে পাঁচ কিলো ওজন কমিয়ে ফেলেছিলেন সাইনা। ফলে কোর্ট মুভমেন্ট বেড়ে গেলেও পাওয়ার অনেকটাই হারিয়ে ফেলেন। তাঁর বাবা হরবীর সিংহ ও মা উষা নেহওয়ালের চোখে সাইনার দুর্বলতা নজরে আসে। এবং মাস দুয়েকের মধ্যে ব্যালেন্সড ডায়েট খাইয়ে প্রায় আড়াই কেজি মতো ওজন বাড়িয়ে দেন মেয়ের। তারপর গোপীর কাছে কঠোর অনুশীলনে নিজের পুরোনো ফর্মে আস্তে আস্তে ফিরে পান সাইনা। জুনে তাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ায় পরপর দুটি সোনা জিতে তাঁর আত্মবিশ্বাস ভাল জায়গায়। গোপীচন্দ কড়া নজর রেখেছেন তাঁর উপর। ডাবলসে সাড়া ফেলা জ্বালা গাট্টার গলাতেও বেশ আত্মবিশ্বাস। ফোনে বললেন, “ছোটবেলা থেকেই আমার লক্ষ্য ছিল অপর্ণা পোপাটকে হারাবার। পরে লক্ষ্য পরিবর্তন করে আন্তর্জাতিক সেরাদের হারাবার চেষ্টা করে সফল হয়েছি। দেশ আমাকে অনেক দিয়েছে। এবার আমার লক্ষ্য একটি অলিম্পিক পদকের। তাই লন্ডন থেকে খালি হাতে ফিরতে চাই না।” আর পারুপল্লি কাশ্যপের গলায় আরও আত্মবিশ্বাস, “আমি নিজে কিছু বলতে চাই না। লন্ডনে ওয়েম্বলির কোর্টে আমার হাতের র‌্যাকেটটাই শেষ কথা বলবে।”

বিশেষজ্ঞের রায়
পুল্লেলা গোপীচন্দ
খেলোয়াড়রা প্রচণ্ড পরিশ্রম করছে। শুধু সাইনা নয়, পি কাশ্যপও দারুণ ফর্মে রয়েছে। ডাবলস ও মিক্সড-ডাবলসে জ্বালা অশ্বিনী ও ডিজু ভাল খেলছে। তাই আমার আশা, লন্ডন থেকে আমরা পদক নিয়ে ফিরবই। সাইনা যে কোনও সময় যা ইচ্ছে করার ক্ষমতা রাখে। আর কাশ্যপ এবং জ্বালারাও পদকের জন্য জোর লড়াই করবেই।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.