প্রশ্ন একটাই। সাইনা নেহওয়াল ছাড়া আর কারও ব্যাডমিন্টনে পদক আনার সম্ভাবনা রয়েছে?
পুল্লেলা গোপীচন্দের মতো অনেকেই কিন্তু আশার কথা শোনাচ্ছেন। এই মুহূর্তে হায়দরাবাদে দুটি জায়গায় জোর প্রস্তুতি চলছে। গোপীচন্দের ব্যাডমিন্টন অ্যাকাডেমিতে কঠোর অনুশীলনে ব্যস্ত সাইনা। লালবাহাদুর শাস্ত্রী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে প্রবীণ কোচ মহম্মদ আরিফের কাছে ট্রেনিং নিচ্ছেন জ্বালা গাট্টা, অশ্বিনী পুনাপ্পা, ডিজুরা।
জাতীয় ব্যাডমিন্টন সংস্থার প্রেসিডেন্ট অখিলেশ দাস জোর দিয়ে বললেন, “কে কী বলছে আমি জানতে চাই না। আমি জানি এ বার শুধু সাইনা একা পদক জিতবে না। মেয়েদের ডাবলস জুটি জ্বালা গাট্টা-অশ্বিনী পুনাপ্পা অথবা ভারতের মিক্সড-ডাবলস জুটি জ্বালা গাট্টা-ডিজু জুটি। বা পুরুষ সিঙ্গলসে বর্তমানে দারুণ ফর্মে থাকা পারুপল্লি কাশ্যপের কাছ থেকে আর একটি পদক আসছে।” |
কোর্টের নড়াচড়ায় গতি আনতে মাঝে পাঁচ কিলো ওজন কমিয়ে ফেলেছিলেন সাইনা। ফলে কোর্ট মুভমেন্ট বেড়ে গেলেও পাওয়ার অনেকটাই হারিয়ে ফেলেন। তাঁর বাবা হরবীর সিংহ ও মা উষা নেহওয়ালের চোখে সাইনার দুর্বলতা নজরে আসে। এবং মাস দুয়েকের মধ্যে ব্যালেন্সড ডায়েট খাইয়ে প্রায় আড়াই কেজি মতো ওজন বাড়িয়ে দেন মেয়ের। তারপর গোপীর কাছে কঠোর অনুশীলনে নিজের পুরোনো ফর্মে আস্তে আস্তে ফিরে পান সাইনা। জুনে তাইল্যান্ড ও ইন্দোনেশিয়ায় পরপর দুটি সোনা জিতে তাঁর আত্মবিশ্বাস ভাল জায়গায়। গোপীচন্দ কড়া নজর রেখেছেন তাঁর উপর। ডাবলসে সাড়া ফেলা জ্বালা গাট্টার গলাতেও বেশ আত্মবিশ্বাস। ফোনে বললেন, “ছোটবেলা থেকেই আমার লক্ষ্য ছিল অপর্ণা পোপাটকে হারাবার। পরে লক্ষ্য পরিবর্তন করে আন্তর্জাতিক সেরাদের হারাবার চেষ্টা করে সফল হয়েছি। দেশ আমাকে অনেক দিয়েছে। এবার আমার লক্ষ্য একটি অলিম্পিক পদকের। তাই লন্ডন থেকে খালি হাতে ফিরতে চাই না।” আর পারুপল্লি কাশ্যপের গলায় আরও আত্মবিশ্বাস, “আমি নিজে কিছু বলতে চাই না। লন্ডনে ওয়েম্বলির কোর্টে আমার হাতের র্যাকেটটাই শেষ কথা বলবে।”
|