ভাইচুং ভুটিয়া: অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ছোটবেলা থেকে অনেক লড়াই করে পিঙ্কি উঠে এসেছেন। পিঙ্কি যদি দোষী না হয়, তবে যেন ভবিষ্যতে ওঁকে এ ভাবে হেনস্থা না করা হয়। ওঁর আরও আগে জামিন পাওয়া উচিত ছিল। পিঙ্কির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তা সত্ত্বেও মনে হয় দেশের জন্য যাঁরা কিছু করেছেন, তাঁদের বিষয়টি অন্য ভাবে ভেবে দেখা উচিত।
রীতা সেন: এটা বাংলার খেলাধুলোর জগতে সম্ভবত সবচেয়ে লজ্জাজনক ব্যাপার। পুলিশ, ডাক্তাররা মিলে যে ভাবে ওকে হেনস্থা করেছে তা অকল্পনীয়। সবচেয়ে খারাপ লাগল, ওর পাশে কেউ দাঁড়াল না। অন্য রাজ্যে কিন্তু ঠিক উল্টোটা হয়।
বুলা চৌধুরী: পুলিশ যে ভাবে ওকে ধরে নিয়ে ঘুরেছে তা নিয়ে নিন্দার কোনও ভাষা জানা নেই। এর জবাবদিহি কে করবে? এসব আমাদের রাজ্যে কী হচ্ছে! যিনি ধর্ষিতা হয়েছেন বলছেন, তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছিল?
জ্যোতির্ময়ী শিকদার: একটা মেয়ে অন্য মেয়েকে ধর্ষণ করছে এ রকম হয় নাকি! পিঙ্কি রেলে চাকরি করত। গ্রেফতার হওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত হয়। ওকে যেন কাজে বহাল করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী মহিলা হয়েও ব্যবস্থা নিলেন না।
শান্তি মল্লিক: এই যে হাত-পা বেঁধে ওর পরীক্ষা হয়েছে, সেটা কি র্যাগিংয়ের থেকে কোনও অংশে কম? পুলিশ, ডাক্তারদের ভূমিকার নিন্দা করার ভাষা নেই আমার।
কুন্তলা ঘোষ দস্তিদার: পিঙ্কির নরকবাস শেষ হল। কিন্তু ওর যা সর্বনাশ হওয়ার সেটা তো হয়েই গেল। কেরিয়ার শেষ। চাকরিজীবন অনিশ্চিত। ভাবমূর্তি ধুলোয় মিশে গেল। আর সবই একটা মেয়ের জন্য।
প্রিয়ঙ্কা রায়: গোটা ঘটনাটার গভীরে কী রয়েছে জানি না। কিন্তু প্রশাসনিক স্তরে বিষয়টা আরও মানবিক ভাবে সামলানো উচিত ছিল। এ রকম যেন আর না হয়।
মদন মিত্র: বিষয়টি বিচারাধীন। এ ব্যাপারে সরকার কোনও কথা বলবে না। খেলোয়াড়দের মতো সাধারণ মানুষেরও ন্যায়বিচার পাওয়া উচিত। |