দীর্ঘদিনের পুরনো পাসপোর্ট দফতরটি বন্ধ করে দিল জেলা প্রশাসন। এই বন্ধের প্রতিবাদে সরব হলেন জেলা তৃণমূল। এ বিষয়ে স্মারকলিপিও দেওয়া হয় জেলাশাসকের কাছে।
চুঁচুড়ায় হুগলির জেলাশাসক দফতর সংলগ্ন পাসপোর্ট কাউন্টারটিতে দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের পাসপোর্ট-সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যার সমাধান হচ্ছিল। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষেরা এখান থেকেই পাসপোর্ট করাতেন বিদেশে পাড়ি দেবার জন্য। কিন্তু এখন তা আর হবে না। পাসপোর্ট করাতে হলে এখন থেকে যেতে হবে কলকাতায়। |
জাঙ্গিপাড়ার বাসিন্দা মহম্মদ আনিসুল ইসলাম বলেন, “বাংলাদেশে মেয়ের কাছে যাব বলে চুঁচুড়ার পাসপোর্ট অফিসে এসেছিলাম আবেদনপত্র নিতে। কিন্তু এসে শুনলাম এটা বন্ধ হয়ে গেছে। কম্পিউটারে দেখে নেওয়ার জন্য বলেন এক অফিসার। কিন্তু আমি ও সব কিছু জানি না। এখন কোথায় যে কী করব! তাই ফিরে যাচ্ছি।”
প্রশাসনের দাবি এখানকার দফতরটিতে পাসপোর্টকারীর সংখ্যা ক্রমশ কমে যাচ্ছে। তার ফলে এই কাউন্টারটিকে বন্ধ করে দেবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলার অধিকাংশ বাসিন্দা বাংলাদেশ পাড়ি দেওয়ার জন্য এই দফতর থেকেই পাসপোর্টের আবেদনপত্র সংগ্রহ করতেন এবং জমা দিতে হত এখানে। জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্ত জানান, “ দীর্ঘ ৪০-৪৫ বছর ধরে এই পাসপোর্ট দফতরটি সাধারণ মানুষকে পাসপোর্ট সংক্রান্ত পরিষেবা দিয়ে আসছে। পাসপোর্টকারীর সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণে জেলা প্রশাসন হঠাৎই দফতরটি বন্ধ করে দেওয়ায় মানুষকে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আমরা চাই প্রশাসন দফতরটিকে সম্পূর্ণ বন্ধ না করে সপ্তাহে অন্তত দু’তিন দিন খোলা রাখুক।” এ বিষয়ে জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। হুগলির জেলাশাসক শ্রীপ্রিয়া রঙ্গরাজন বলেন,“ আগে এই দফতর থেকে পাসপোর্ট করানোর সংখ্যা বেশি ছিল। ইদানীং তা অনেক কমে গিয়েছে। তার ফলেই বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুনরায় চালুর দাবিতে স্মারকলিপি পেয়েছি। আলোচনা করে দেখা হবে।” |