পড়শির মারধরে বৃদ্ধের মৃত্যুর নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডোমজুড় |
বৃদ্ধকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। পাল্টা ওই প্রতিবেশীর বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় কিছু লোক। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত গত রবিবার। ওই দিন প্রতিবেশী একটি ছেলের সঙ্গে বসে মদ্যপান করছিলেন ডোমজুড়ের অঙ্কুরহাটি বটতলার বাসিন্দা ধেনু চৌধুরী (৬১)। কেন তিনি ছোট ছেলেটিকে মদ্যপান করাচ্ছেন, এই অভিযোগ তুলে ছেলেটির বাড়ির লোক মারধর করেন ধেনুবাবুকে। জখম অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করা হয় বাঁকড়া ইএসআই হাসপাতালে। পরে ছেড়েও দেওয়া হয়েছিল। এ দিকে, বুধবার ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান বৃদ্ধ। এই ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। অভিযুক্ত প্রতিবেশীর বাড়িতে চড়াও হন আশপাশের লোকজন। বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ আসে। ধেনুবাবুর দেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। ওই বৃদ্ধকে খুনের অভিযোগ দায়ের হয়েছে থানায়। অভিযুক্তেরা পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁদের খোঁজ চলছে। |
জাতীয় পতাকার ‘অবমাননা’, সরব তৃণমূল
নিজস্ব সংবাদদাতা • আরামবাগ |
সিপিএম পরিচালিত আরামবাগ পুরসভা জাতীয় পতাকার অবমাননা করছে বলে অভিযোগ জানিয়ে মহকুমাশাসকের দ্বারস্থ হল তৃণমূল কংগ্রেস সেবাদল। বুধবার দুপুরে সেবাদলের (আরামবাগ শহর) সভাপতি অর্ঘ্য কুশারী মহকুমা প্রশাসনের পাশাপাশি জেলাশাসক, পুর ও নগর উন্নয়নমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রীর কাছেও অভিযোগ পাঠান। তাঁর বক্তব্য, “২০০২ সালের ২৬ জানুয়ারি জাতীয় পতাকা-সংক্রান্ত সংবিধানের নতুন আইন অনুসারে পুরসভাতে অন্যান্য সরকারি অফিসগুলির মতোই প্রতিদিন সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্তের মধ্যে পতাকা তোলা-নামানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু পুরসভা তা করছে না। কিন্তু পুরসভা নির্দিষ্ট কিছু দিন বাদে পতাকা টাঙাচ্ছেই না। এই অপরাধের বিহিত চাই আমরা।” পুরসভাতেও এ দিন বিক্ষোভ দেখিয়ে তৃণমূল সেবাদল ভাইস চেয়ারম্যান মার্কসবাদী ফরওয়ার্ড ব্লকের দীপক সরকারের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়। দীপকবাবু বলেন, “ওই আইনের কপি চেয়েছি, সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” চেয়ারম্যান গোপাল কচ বলেন, “ওই আইনের কথা আমাদের জানা ছিল না। অতীতে কোনও নির্দেশও আসেনি। মহকুমাশাসকের কাছে বিষয়টি জেনে নেব।” মহকুমাশাসক অরিন্দম নিয়োগী বলেন, “নিয়মিত জাতীয় পতাকা তোলার জন্য পুরসভাকে নির্দেশ পাঠিয়ে দিয়েছি।” |
সিঙ্গুরে তৃণমূলের ‘দলতন্ত্র’, অভিযোগ
নিজস্ব সংবাদদাতা • সিঙ্গুর |
সিঙ্গুরের ‘অনিচ্ছুক’ কৃষকদের জমি ফেরত দেওয়া, ক্ষতিপূরণের পরিমাণ বাড়ানো-সহ ছ’দফা দাবিতে বুধবার ধর্মতলায় গণ অবস্থান করল সিপিআই (এমএল) লিবারেশন এবং সর্বভারতীয় বাম সমন্বয়। ছিলেন সাহিত্যিক নবারুণ ভট্টাচার্য ও কবি সব্যসাচী দেব। তাঁদের অভিযোগ, সিঙ্গুরের কোন কোন ‘অনিচ্ছুক’ কৃষকের ক্ষতিপূরণ প্রাপ্য, তার তালিকা স্থানীয় তৃণমূল তৈরি করছে। লিবারেশনের রাজ্য সম্পাদক পার্থ ঘোষ বলেন, “আমাদের দাবি,এ রকম দলতন্ত্র না করে সাধারণ ভাবে সব অনিচ্ছুক কৃষককেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক।” সব ‘অনিচ্ছুক’ কৃষক, খেতমজুর, বর্গাদারকে মাসে ৭ হাজার ও এককালীন সাত লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান তাঁরা। |