|
|
|
|
রেলের পাশে এ বার এডিবি, অর্থ মন্ত্রকও |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
রেলে যাত্রী ও পণ্য পরিবহণ ক্ষেত্রের পরিকাঠামো উন্নয়নে এগিয়ে এল এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (এডিবি)। রেলের ‘ভিশন ২০২০’ পরিকল্পনা দ্রুত রূপায়ণ করতে আজ প্রথম দফায় সাড়ে সাতশো কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করল তারা। পরিকাঠামো উন্নয়নে ধার্য মোট খরচের যে অংশটুকু এডিবি দেবে, তার বাকিটা ‘ম্যাচিং গ্রান্ট’ হিসেবে দেওয়ার কথা অর্থ মন্ত্রকের। দীর্ঘদিন ধরে অর্থ মন্ত্রকের কাছে নানা ভাবে সাহায্যের আর্জি জানিয়ে আসার পর রেল আজ তাই দু’দিক দিয়েই কিছুটা স্বস্তি পেল।
কাল অর্থ ও রেল মন্ত্রকের কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের পরে প্রথম দফায় সাহায্যের পরিমাণ ঘোষণা করেন এডিবি কর্তৃপক্ষ। অর্থ মন্ত্রক জানিয়েছে, রেলের সার্বিক পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রায় ছ’হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। মোট চার দফায় এডিবি প্রায় সাতাশশো কোটি টাকা দেবে। বাকিটা ‘ম্যাচিং গ্রান্ট হিসেবে দেবে কেন্দ্র। রেল মন্ত্রকের বক্তব্য, সরাসরি না হলেও ‘ঘুরপথে’ অর্থ মন্ত্রক পাশে দাঁড়ানোয় এখন রেলের যে প্রয়োজনীয় কাজগুলি বন্ধ ছিল, তা দ্রুত রূপায়ণ করা যাবে।
প্রসঙ্গত, এডিবি এর আগেই পণ্য করিডর নির্মাণে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। বিশেষজ্ঞদের মতে, যাত্রার সময় কমানো বা সময়মতো পণ্য পরিবহণের জন্য সবার আগে প্রয়োজন লাইনের ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং উন্নত সিগন্যাল ব্যবস্থা। তা করা না হলে প্রকৃত উদ্দেশ্যই মার খাবে। তাই পণ্য করিডর নির্মাণের পাশাপাশি আর্থিক দুর্দশাগ্রস্ত ভারতীয় রেলের পরিকাঠামোগত উন্নয়নেও এগিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এডিবি। পরিকাঠামোগত এই কাজ রূপায়ণের দায়িত্বে থাকছে রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল)।
আরভিএনএল সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অর্থে ৮৪০ কিলোমিটার নতুন লাইন এবং ৬৪০ কিলোমিটার লাইনের বৈদ্যুতিকরণ করা হবে। একটি বড় অংশ খরচ হবে যাত্রী নিরাপত্তায়। দুর্ঘটনা কমাতে ট্রেনে আধুনিক প্রযুক্তি যেমন ব্যবহার হবে, তেমনই ট্রেনের গতি বাড়াতে বসানো হবে নতুন সিগন্যাল ব্যবস্থাও। এ ছাড়া ডিজেলের মতো জ্বালানি ব্যবহার কম করে দূষণ কমানোর পরিকল্পনাও নেওয়া হয়েছে। রেলের হিসেব-নিকেশ নতুন পদ্ধতিতে করার ক্ষেত্রেও এডিবি সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বলে রেল মন্ত্রক জানিয়েছে। |
|
|
|
|
|