|
|
|
|
ক্ষুব্ধ ডিএইচডি |
অসমে স্বতন্ত্র আদিবাসী রাজ্য গড়ার দাবি উঠল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
এক দিকে এনডিএফবির আলোচনাপন্থী ও সংগ্রামপন্থী দুই পক্ষই যখন পৃথক বড়ো রাজ্যের দাবিতে সরব, তখনই দিল্লির কাছে বড়োভূমির অন্তর্গত আদিবাসী অঞ্চলগুলিকে নিয়ে স্বতন্ত্র আদিবাসী রাজ্য গড়ার দাবি জানাল আনলা-সহ বাকি আদিবাসী জঙ্গি সংগঠনগুলি।
অন্য দিকে দিল্লি সফররত অসমের ডিমাসা জঙ্গি গোষ্ঠী স্বশাসিত ডিমারাজি গঠনের ক্ষেত্রে কেন্দ্র ও রাজ্যের দীর্ঘসূত্রতায় ক্ষুব্ধ। গত কাল কেন্দ্র
ও রাজ্যের সঙ্গে ডিএইচডির বৈঠকে এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্তই হয়নি। কেবল সংঘর্ষবিরতির মেয়াদ তিন মাস বাড়ানো হয়েছে।
আদিবাসী জঙ্গি গোষ্ঠীর এক মুখপাত্রের দাবি, বিটিসির মোট জনসংখ্যা ৩০ লক্ষ। যার মধ্যে ১২ লক্ষ বড়ো উপজাতি এবং ৯ লক্ষ আদিবাসী জনগোষ্ঠীভুক্ত। তাঁদের অভিযোগ, বড়োভূমিতে আদিবাসীদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক মনে করা হয়। সসম্মানে বাঁচতে আদিবাসীদের পৃথক রাজ্য গড়া ছাড়া বিকল্প নেই। এমনকী, সংঘর্ষবিরতিতে থাকা আদিবাসী জঙ্গি গোষ্ঠীর ৫টি সংগঠন প্রস্তাবিত রাজ্যের মানচিত্রের পরিকল্পনাও করে ফেলেছে।
কাল, দিল্লিতে কেন্দ্রের সঙ্গে আদিবাসী জঙ্গি গোষ্ঠীর পাঁচটি সংগঠনের প্রথম পর্যায়ের ত্রিপাক্ষিক বৈঠক হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম স্বরাষ্ট্রসচিব (উত্তর-পূর্ব) শম্ভু সিংহ এবং রাজ্যের অতিরিক্ত ডিজি খগেন শর্মা। পৃথক রাজ্যের সঙ্গে আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে তফসিলি জাতির অন্তর্ভুক্তিকরণের দাবিও জানানো হয়। কোবরা মিলিটারির সেনাধ্যক্ষ কানহু মুর্মু আদিবাসী এলাকাগুলিতে মাওবাদীদের আস্তানা গড়ার চেষ্টার বিষয়ে কেন্দ্রকে সতর্ক করেন। পাশাপাশি বড়োভূমিতে বড়ো এবং অ-বড়োদের মধ্যে বাড়তে থাকা উত্তেজনা প্রশমনেও মধ্যস্থতা করার জন্য আদিবাসী নেতারা কেন্দ্রকে অনুরোধ জানান। বৈঠকের পর আদিবাসী জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতারা শাস্ত্রী ভবনে আদিবাসী মন্ত্রকের আমলাদের সঙ্গেও দেখা করেন।
অন্য দিকে,ডিএইচডি-র দিলীপ নুনিসা গোষ্ঠী স্বশাসিত ডিমারাজি আঞ্চলিক পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্তে টালবাহানায় দিল্লি ও দিসপুরের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। ১৩ জুন ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে ডিমাসা উপজাতিদের উন্নয়ন নিয়ে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছিল। কিন্তু দিলীপের অভিযোগ, “তারপরেও রাজ্য সরকার অকারণে বিলম্ব ঘটাচ্ছে। আমরা যে শর্তগুলি রেখেছি, তার সঙ্গে রাজ্য সরকার আরও শর্ত যোগ করতে পারত। আমাদের কোনও শর্ত পছন্দ না হলে, তা নিয়ে আলোচনা করতে পারত। কিন্তু, তারা একেবার চুপ করে রয়েছে।” কাল ডিএইচডি, রাজ্য ও কেন্দ্রের বৈঠকে তিন মাসের জন্য সংঘর্ষবিরতির মেয়াদ বাড়ানো ছাড়া অন্য কোনও সিদ্ধান্তই হয়নি।
রাজ্য সরকারের বক্তব্য, ডিএইচডি স্বশাসিত ডিমারাজির মধ্যে নগাঁও ও কাছাড়ের ৯৪টি গ্রামকে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি নিয়েই সমস্যা জট পাকিয়েছে। কাছাড়ের নেতা-মন্ত্রীরা সাফ জানান, কাছাড়ের এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া হবে না। সেখানকার চা জনগোষ্ঠী-সহ অন্যান্য আদিবাসীরাও ডিমারাজির অন্তর্ভুক্ত হওয়ার প্রতিবাদে কাল কাছাড়ের জেলাশাসকের দফতরে ধর্নায় বসেছিলেন। |
|
|
|
|
|