|
|
|
|
‘১১ জুলাই’ শহিদ দিবস পালন ত্রিপুরা কংগ্রেসের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • আগরতলা |
মমতার ২১ জুলাই-এর পদাঙ্ক অনুসরণ করেই ত্রিপুরার প্রধান বিরোধী দল, কংগ্রেস এ বার থেকে ১১ জুলাই ‘শহিদ দিবস’ পালনে উদ্যোগী হয়েছে। গত বছর এই দিনে যুব কংগ্রেস কর্মী পাপাই সাহা পুলিশের গুলিতে মারা যান। সেই মৃত্যুকে সামনে রেখেই আজ ‘শহিদ দিবস’ পালন করল কংগ্রেস, যুব কংগ্রেস।
আজ আগরতলা শহরের কামান চৌমুহনির ‘শহিদ মঞ্চে’ উপস্থিত ছিলেন পাপাইয়ের মা ছাড়াও বহু কংগ্রেস নেতা। মঞ্চে আনা হয়েছিল গত বছর ১১ জুলাই গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হয়েছিলেন এমন আরও দু’জন কংগ্রেস সমর্থককে। পাপাই সাহার পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে গত বছর ১১ জুলাইয়ের ঘটনার স্মৃতিচারণ করলেন কংগ্রেস বিধায়ক গোপাল রায়, প্রদেশ কংগ্রেস নেতা অশোক সিনহা, যুব কংগ্রেস সভাপতি সুশান্ত চৌধুরী, বামফ্রন্ট মন্ত্রিসভার প্রাক্তন স্পিকার, এখন দল ছেড়ে বেরিয়ে আসা জিতেন সরকার-সহ আরও অনেকে।
উল্লেখ্য, গত বছর ১০ জুলাই ত্রিপুরা মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র ভর্তি পরীক্ষার ‘অনিয়মের’ প্রতিবাদে রাজ্য কংগ্রেসের বহু নেতা, সমর্থক বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। বিক্ষোভকারীদের বাধা দিতে গিয়ে সে দিন রাজ্য পুলিশের কয়েক জন কর্মী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হন বহু কংগ্রেস নেতা এবং কর্মী। জখম হয়েছিলেন আরও অনেকে। ‘পুলিশি সন্ত্রাসে’র প্রতিবাদে পরের দিন, ১১ জুলাই শহর জুড়ে প্রদেশ কংগ্রেস ‘মৌন মিছিল’ বের করে। সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে আগরতলার কামান চৌমুহনি-সহ পশ্চিম থানা সংলগ্ন এলাকায় ‘অশান্তি’র পরিবেশ ছড়িয়ে পড়ে। এরই ফলে রাজ্য পুলিশ এবং টিএসআর বাহিনির জওয়ানদের সঙ্গে কংগ্রেস সমর্থক ও কর্মীদের সংঘর্ষ বেধে যায়। অবস্থা ‘নিয়ন্ত্রণে’ আনতে পুলিশ গুলি চালায়। মারা যান পাপাই। আজ পাপাই সাহার মৃত্যুর এক বছর পূর্ণ হল। যাঁর স্মৃতির উদ্দেশে শ্রদ্ধা জানাতে প্রদেশ কংগ্রেস আজকের দিনটিকে ‘শহিদ দিবস’ হিসবে পালন করার সিদ্ধান্ত নেয়।
উল্লেখ্য, গত বছর যে মেডিক্যালে ভর্তি নিয়ে এই অশান্তি, এ বারও সেই জয়েন্ট এন্ট্রান্স বিতর্ক পিছু ছাড়েনি ক্ষমতাসীন বামফ্রন্টের। গত কালই জয়েন্টের পরীক্ষার সব খাতা আটক করার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। |
|
|
|
|
|