ভাগ্যিস চুরি হয়েছিল!
তাই জানা গেল, ব্যাঙ্কের ভিতরের সিসিটিভি বন্ধ। অভিযোগ ছিল ব্যাঙ্কের ভিতরেই ব্যাগ কেটে টাকা ছিনতাইয়ের। তদন্তে জানা গেল, ব্যাঙ্কের সিসিটিভি-ই বন্ধ রয়েছে কিছু দিন ধরে। তা জেনেও ভ্রূক্ষেপ নেই কর্তৃপক্ষের। সুরক্ষার এমন ঢিলেঢালা হাল দেখে বিস্মিত পুলিশকর্তারা।
পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানান, প্রতিটি ব্যাঙ্কে সব সময়ের জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা এবং মনিটর চালু থাকা অত্যন্ত জরুরি। নিরাপত্তার জন্য এই ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় শাখায় কেন বিকল হয়ে আছে ওই ব্যবস্থা?
ওই শাখার কর্তাদের ব্যাখ্যা, সিসিটিভি-র মনিটর কাজ করছে না। প্রায় ১৫ দিন ধরে সেগুলি বিকল। কিন্তু রেকর্ডিং চলছে। ব্যাঙ্কের একটি ঘরের নির্মাণের জন্যই এই অবস্থা। পুলিশ জানিয়েছে, এত দিন সিসিটিভি বিকল হয়ে আছে জেনেও তা মেরামতের চেষ্টা করেননি ওই ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
কী করে জানা গেল এই সিসিটিভি বন্ধ থাকার ঘটনাটি?
যাদবপুরের সেন্ট্রাল পার্কের বাসিন্দা মিতালি দাসমাল মঙ্গলবার যাদবপুর থানায় অভিযোগে জানান, তিনি স্টেট ব্যাঙ্কের ওই শাখা থেকে সে দিন দশ হাজার টাকা তোলেন। বাড়ি ফিরে দেখেন, ব্যাগের একটি পাশ ধারালো কিছু দিয়ে কাটা। চেন খোলা। ব্যাগে টাকা নেই। মিতালির অভিযোগ, ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়েই তিনি অটো ধরে সোজা বাড়িতে যান। সেখানে কারও পক্ষে ব্যাগ কাটা সম্ভব নয়। তাঁর অভিযোগ, ব্যাঙ্কে টাকা তোলার পর থেকেই দু’টি ছেলে তাঁর পিছনে পিছনে ঘুরছিল। ব্যাঙ্ক থেকে বেরোনোর সময়ে পিছনে কেউ তাঁকে ধাক্কাও মারে। কিন্তু তিনি বিষয়টিতে গুরুত্ব দেননি। টাকা ছিনতাইয়ের বিষয়টি জানার পরে তিনি প্রথমে ব্যাঙ্ক-কর্তৃপক্ষের কাছে গিয়ে সিসিটিভি চালিয়ে ঘটনাটির ছবি দেখানোর অনুরোধ জানান। তাঁর অভিযোগ, স্টেট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাঁকে জানান, সিসিটিভি খারাপ হয়ে রয়েছে। তাই ছবি দেখানো সম্ভব হচ্ছে না। এর পরেই পুলিশের কাছে যান মিতালি।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (এস্টাব্লিশমেন্ট) চঞ্চল দত্ত বলেন, ‘‘ওই মহিলা যদি তাঁর কেস-ডায়েরিতে ব্যাঙ্কেই টাকা খোয়া গিয়েছে বলে অভিযোগ দায়ের করেন, তা হলে ব্যাঙ্কে গিয়ে তদন্ত করা হবে। সিসিটিভি কেন বন্ধ ছিল, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। কারণ কোনও অবস্থাতেই সিসিটিভি বন্ধ থাকার কথা নয়।” |