শিলচর উড়ে যাওয়ার মুখে কলকাতা বিমানবন্দরের রানওয়ের উপরে বিমান নিয়ে থমকে দাঁড়িয়ে গেলেন এয়ার ইন্ডিয়ার পাইলট। দেখলেন, রানওয়েতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে মাংসের টুকরো। আর সেই মাংসের লোভে রানওয়ের পাশ থেকে উঁকি দিচ্ছে কুকুরের দল!
বুধবার বেলা ১টা ১০ মিনিটের ওই ঘটনার পরে বিমানটিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় পার্কিং বে-তে। এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-এর নির্দেশে কলকাতায় নামার পথে আকাশে আটকে পড়ে ছ’টি বিমান। ছাড়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকে আরও পাঁচটি। আকাশ পরিষ্কার থাকলে প্রধান রানওয়ে বন্ধ করে সেই সময় দ্বিতীয় রানওয়ে ব্যবহার করা যেত। কিন্তু মেঘের জন্য দৃশ্যমানতা এতটাই কমে গিয়েছিল যে, দ্বিতীয় রানওয়ে থেকে বিমান ওঠানামা সম্ভব ছিল না। ফলে আধ ঘণ্টা কার্যত বন্ধ হয়ে যায় কলকাতার সব বিমান চলাচল। প্রধান রানওয়ে পরিষ্কার করে, জল দিয়ে ধুয়ে পরে আবার তা চালু করা হয়।
কিন্তু রানওয়েতে মাংস এল কোথা থেকে? মাংসটাই বা কোন প্রাণীর? বিমানবন্দরের আশপাশের কোনও শেয়ালের মাংস বলেই মনে করছেন বিমানবন্দর-কর্তৃপক্ষ। ওই উড়ানের আগে নামা বা ওঠার সময় কোনও বিমানের চাকায় তার ওই অবস্থা হয়েছে। তবে ওই বিমানের ঠিক আগের উড়ানের পাইলট জানান, তাঁর বিমানের কোনও ক্ষতি হয়নি।
এর আগে, সকালে প্রধান রানওয়ে বন্ধ রেখে রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছিল। বিমান ওঠানামা করছিল দ্বিতীয় রানওয়ে থেকে। কিন্তু শহরের আকাশ কালো করে আসায় চালু করা হয় প্রধান রানওয়ে। কম দৃশ্যমানতা নিয়ে রানওয়ের উত্তর দিক থেকে ইনস্ট্রুমেন্টাল ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস)-এর সাহায্যে বিমান নামছিল। হঠাৎই বিগড়ে যায় আইএলএস ব্যবস্থা। তার উপরে কলকাতায় নামার সময় এটিসি অফিসারেরা যে-রেডারের সাহায্যে বিমানকে পথ দেখিয়ে নিয়ে আসেন, সেটিও যায় বিগড়ে। ফলে কলকাতার মাথায় পৌঁছেও নামতে পারেনি বেশ কয়েকটি বিমান। প্রতিটি বিমানই এক-দু’বার নামার চেষ্টা করে। তার মধ্যে ইন্ডিগোর আগরতলা-কলকাতা বিমান দু’বার নামার চেষ্টা করে মুখ ঘুরিয়ে ভুবনেশ্বর উড়ে যায়। পরে বিমানটি কলকাতায় ফেরে। আধ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চক্কর কাটার পরে বিমানগুলি নামে কলকাতায়। সেই সময় কলকাতা থেকে বেশ কয়েকটি বিমান ছাড়তেও দেরি হয়। |