পর্যটন প্রকল্পের কাজ এগোতে উদ্যোগী মন্ত্রী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
পর্যটন প্রসারের জন্য কী কী করা সম্ভব, তা খতিয়ে দেখতে বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরে এলেন রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী রচপাল সিংহ। তিনি জামবনির চিল্কিগড়, বেলপাহাড়ির ঘাঘরা, ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি, মেদিনীপুরের গোপগড় ইকো-পার্ক ঘুরে দেখেন। স্থানীয়দের সঙ্গেও কথা বলেন। মন্ত্রী জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসন যে ভাবে প্রস্তাব পাঠাবে, সে ভাবেই উন্নয়নের কাজ শুরু হবে। |
গত এক বছরে একাধিকবার জেলায় এসেছেন পর্যটনমন্ত্রী। জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। প্রশাসন সূত্রে খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকার পর্যটন কেন্দ্রগুলিকে ঘিরে একটি ট্যুরিজম-সার্কিট গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। এ জন্য ইতিমধ্যে একটি খসড়া পরিকল্পনাও তৈরি করা হয়েছে। ‘ওয়েস্টবেঙ্গল কনসালটেন্সি অর্গানাইজেশন’ (ওয়েবকন) খসড়া পরিকল্পনা তৈরি করেছে। কয়েক মাস আগে জেলা প্রশাসনের কাছে প্রস্তাবিত প্রকল্পের খসড়া জমাও পড়েছে। এখন এই প্রকল্প রূপায়িত করতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। বুধবার সকালে মেদিনীপুর থেকে মন্ত্রী প্রথমে পৌঁছন জামবনির চিল্কিগড়ে। এখানে কনকদুর্গা মন্দির রয়েছে। বয়ে গিয়েছে ডুলুং নদী। পুরো এলাকা ঘুরে দেখে মন্ত্রীর মন্তব্য, “খুব সুন্দর জায়গা।” স্থানীয় রাজবাড়ি এলাকাও ঘুরে দেখেন। পর্যটনমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন জেলার পরিকল্পনা ও উন্নয়ন আধিকারিক প্রণব ঘোষ, মেদিনীপুরের (সদর) বিডিও অয়ন নাথ প্রমুখ। জামবনি থেকে গিধনি হয়ে মন্ত্রী পৌঁছন বেলপাহাড়ির ঘাঘরায়। এখানেও পর্যটন-প্রসারের সম্ভাবনা রয়েছে। পরে ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি হয়ে বিকেলে আসেন মেদিনীপুরের গোপগড় ইকো-পার্কে। মন্ত্রী বলেন, “জঙ্গলমহলে এখন শান্তি ফিরেছে। বহু মানুষ এখানে এসে ছুটি কাটাতে পারেন। সেই জন্যই পর্যটন-প্রসারের উদ্যোগ শুরু হয়েছে।” |