গুসকরার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে মাটির রাস্তা নির্মাণে পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার এবং দলেরই এক কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে তৃণমূলের একাংশ। তবে বুধবার গুসকরার পুরপ্রধান, তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত চঞ্চল গড়াই বলেন, “আমি দিন পনেরো এলাকার বাইরে ছিলাম। ঠিক কী ঘটেছে, তা এখনই বলতে পারবো না। পরে খবর নেব।”
তৃণমূলের গুসকরা শহর কমিটির সভাপতি নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ওই ওয়ার্ডের আলুটিয়া ডোমপাড়ায় ৫৬ হাজারেরও বেশি টাকা খরচ করে একটি রাস্তা তৈরির কথা ছিল। তার জন্য গত ২৪ মে পুরসভা ‘ওয়ার্ক অর্ডার’ দেয়। কিন্তু কাজ না করেই পুরসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এবং ওই ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার মাপজোক করে দেখিয়ে দেন, গত ১৯ জুন রাস্তার কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। অথচ পুরসভার নথি অনুযায়ী কাজ শেষ হয়েছে ১৫ জুন। রাস্তা তৈরিতে খরচ হয়েছে মোট ৫৬ হাজার ৫০০ টাকা। কাজ যে শেষ হয়েছে, তার প্রমাণস্বরূপ ওই নথিতে ওয়ার্ডের ডোমপাড়ার সাত বাসিন্দার সই রয়েছে। কিন্তু কাজটাই হয়নি।
নিত্যানন্দবাবুর দাবি, অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার সুকান্ত সামন্ত এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মানিক মাঝিকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী, পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী, জেলাশাসক, রেলমন্ত্রী মুকুল রায় ও আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে তিনি চিঠি লিখেছেন। বর্ধমান (উত্তর) মহকুমাশাসক প্রদীপ আচার্য জানান, নিত্যানন্দবাবু তাঁর কাছেও মৌখিক ভাবে ওই রাস্তা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ জানিয়েছেন। তিনি সমস্ত কাগজপত্র পাঠাতে বলেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। অভিযুক্ত ইঞ্জিনিয়ার ও কাউন্সিলর মন্তব্য করতে চাননি। |