গ্রামে প্রায়শই বিদ্যুৎ বিপর্যয় হচ্ছে। এই অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির আসানসোল অফিসে তাণ্ডব চালালেন আসানসোল (উত্তর) থানা এলাকার কিছু বাসিন্দা। বিদ্যুৎ পর্ষদ কর্তৃপক্ষ ওই থানায় অভিযোগে জানান, বাসিন্দারা পর্ষদের একাধিক কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর চালিয়েছেন। কর্মীদের বেধড়ক মারধর করে বিদ্যুৎ সংযোগ ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত কর্মীরা। পুলিশ জানায়, তদন্ত চলছে। দোষীদের খোঁজ করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ। আসানসোল উত্তর থানা এলাকার শীতলা গ্রামে কয়েক জন বিদ্যুৎকর্মী বিদ্যুতের লাইন ঠিক করতে যান। সেই সময় এক দল গ্রামবাসী তাঁদের ব্যাপক মারধর করে বলে অভিযোগ। বাসিন্দাদের বক্তব্য, গ্রামে ঘন ঘন বিদ্যুৎ বিপর্যয় হচ্ছে। দফতরে বারবার জানিয়েও সমাধান হচ্ছে না। তাঁদের দাবি, গ্রামে আরও একটি ট্রান্সফর্মার বসানো হোক। কিন্তু বিদ্যুৎকর্তারা সে কথা কানে তুলছেন না বলে ক্ষুব্ধ তাঁরা। যদিও সংস্থার আসানসোল ডিভিশনের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়র মিতেশ দাশগুপ্তের দাবি, গ্রামবাসীদের দাবির কোনও যৌক্তিকতা নেই। তিনি বলেন, “গ্রামে যত গ্রাহক রয়েছেন, তাঁদের জন্য একটি ট্রান্সফর্মারই যথেষ্ট। ওই গ্রামে হুকিং করে প্রচুর অবৈধ সংযোগ নেওয়া হয়েছে। সেগুলি বন্ধ হলেই বিদ্যুৎ বিপর্যয় থাকবে না।”
গ্রামবাসীদের হাতে মার খাওয়ার পর ওই কর্মীরা গ্রাম থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। গ্রামবাসীরাও পিছন পিছন ধাওয়া করেন। সংস্থার আসানসোল ডিভিশনের ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার মিতেশ দাশগুপ্তের অভিযোগ, বাসিন্দারা প্রথমে কন্যাপুর কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর করেন। কর্মীদের মারধর করা হয়। এর পরে তাঁরা যান পর্ষদের আপকার গার্ডেন কার্যালয়ে। সেখানেও ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে কর্মীদের মারধর করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ১১ হাজার ভোল্টের একটি বিদ্যুৎ পরিবাহী তার অকেজো করে দেওয়া হয়। কন্যাপুর ও এলআইসি ফিডার থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ফলে আসানসোল শহরের বিস্তীর্ণ এলাকায় ছ’ঘন্টা বিদ্যুৎ পাননি প্রায় দু’হাজার গ্রাহক। মিতেশবাবু বলেন, “গ্রামবাসীদের মারে রবি বাউরি নামের এক কর্মী গুরুতর জখম হয়েছেন। তাঁর চিকিৎসা চলছে। কর্মীরা নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন।” |