প্রতিবন্ধীদের পড়াশোনা শেখাতে অন্ডালের খান্দরায় গড়ে উঠেছিল কর্মকেন্দ্র। ত্রিশ বছর আগে সেই কেন্দ্রের উদ্বোধন করেছিলেন মাদার টেরিজা। দু’শোরও বেশি পড়ুয়াকে শুধু সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করানোই নয়, তার পরে নানা রকম বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে এই ‘বিধানচন্দ্র প্রতিবন্ধী কর্মকেন্দ্রে’। এ বার চার একর জমিতে একটি বৃদ্ধাশ্রম গড়তে উদ্যোগী হল এই কেন্দ্র। বুধবার সকালে তার শিলান্যাস করে গেলেন রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন। |
মঙ্গলবার অগ্নিবীণা এক্সপ্রেসে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ দুর্গাপুরে পৌঁছন রাজ্যপাল। দুর্গাপুর হাউস থেকে বুধবার সকালে তিনি যান খাঁদরায় বৃদ্ধাশ্রমের শিলান্যাসে যান। অনুষ্ঠানে এ দিন মোট ২৪৯ জন প্রতিবন্ধীকে সহায়ক সামগ্রী দেওয়া হয়। তার মধ্যে প্রথম ৫ জনের হাতে সহায়ক সামগ্রী দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন রাজ্যপাল। এর পরে রাজ্যপাল জানান, বিশ্বে প্রতিবন্ধীর সংখ্যা প্রায় ৭ মিলিয়ন। তার মাত্র ২ শতাংশ শিক্ষিত। রোজগার করেন মাত্র ১ শতাংশ। তাই প্রতিবন্ধীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ গড়ে তোলার উপর জোর দেন তিনি। তাঁর মতে, খাঁদরার মতো এই ধরনের কর্মকেন্দ্র যত গড়ে উঠবে প্রতিবন্ধীদের কর্মসংস্থানের বিষয়টি ততই নিশ্চিত হবে।
খাঁদরায় প্রায় দেড় ঘণ্টা কাটিয়ে দুপুরে ১২টা নাগাদ দুর্গাপুরে ফেরেন রাজ্যপাল। সেখানে দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট পরিদর্শনের পরে সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বিকেলে ডিএসপি-র উদ্যোগে আয়োজিত এ-জোনে রবীন্দ্রনাথের পূর্ণাবয়ব মূর্তির আবরণ উন্মোচন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। অনুষ্ঠান শুরুর কথা ছিল বিকাল ৫টায়। কিন্তু প্রবল বৃষ্টি ও বজ্রপাতের জন্য অনুষ্ঠান শুরু করা নিয়ে সংশয়ে পড়েন উদ্যোক্তারা। শেষ পর্যন্ত ঘণ্টাখানেক পরে বৃষ্টির মধ্যেই এসে উপস্থিত হন রাজ্যপাল। মূর্তির আবরণ উন্মোচনের পরে মিনিট দশেক কচিকাঁচাদের রবীন্দ্রসঙ্গীত ও নৃত্য উপভোগ করেন তিনি। দুর্গাপুর হাউস থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ রাজ্যপালের কনভয় রওনা দেয় দুর্গাপুর স্টেশনের দিকে। শতাব্দী এক্সপ্রেসে ফিরে যান কলকাতায়। |