|
|
|
|
‘শুদ্ধিকরণের’ খোঁজে ওষুধ ব্যবসায়ী সমিতি |
সুস্মিত হালদার • কৃষ্ণনগর |
লক্ষ্য ‘শুদ্ধিকরণ’!
প্রতারণা রুখতে নদিয়া জেলা জুড়ে ওষুধের দোকানে বিশেষ নজরদারিতে তাই এগিয়ে এল ওষুধ ব্যবসায়ীদেরই সংগঠন বেঙ্গল কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট অ্যাসোসিয়েশন।
কখনও নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ওষুধ বিক্রি, কখনও আবার চিকিৎসক প্রেসক্রিপশনে যে সংস্থার ওষুধ লিখেছেন তা না দিয়ে একই শ্রেণীর অন্য সংস্থার ওষুধ দেওয়া কিংবা মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সেই ওষুধ বিক্রি করার—অভিযোগ ওঠে হামেশাই। অনর্গল হয়রানি ক্রেতাদের। তাঁদের পাশে দাঁড়াতেই তাই এই বিশেষ নজরদরি ওই অ্যাসোসিয়েশনের।
অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ওষুধ বিক্রেতারা যাতে ক্যাশ মেমো দিয়েই ওষুধ বিক্রি করেন সে ব্যাপারেও নজরদারি শুরু হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশনের নদিয়া শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক অংশুমান দে বলেন, ‘‘ক্রেতারা যাতে কোনভাবেই প্রতারিত না হন সেই জন্য আমাদের এই উদ্যোগ। জেলা স্তরে ভিজিলেন্স কমিটিও গঠন করা হয়েছে।’’ সম্প্রতি এই নজরদারির ফলে জনাকয়েক ওষুধ বিক্রেতার বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তাদের বিরুদ্ধে অ্যাসোসিয়েশনগত ভাবে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। অংশুমানবাবু বলেন, ‘‘ওই ওষুধ ব্যবসায়ীদের সতর্ক করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’’
জেলায় ওষুধের দোকানের সংখ্যা ১৭৮৬। এই জেলায় সংগঠনের ১৭ টি জোন রয়েচে। প্রতিটি জোনেই একটি করে ভিজিলেন্স কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই ভিজিলেন্স কমিটির সদস্যরা কখনও কখনও সাধারণ ক্রেতা সেজে আচমকা হানা দিচ্ছেন ওষুধের দোকানগুলিতেও। তাতে ফলও মিলছে হাতেনাতে। গত দু’দিনে শুধু বেথুয়াডহরি এলাকাতেই প্রায় সাতটি দোকানে গিয়ে একাধিক অসঙ্গতি নজরে এসেছে ওই কমিটির কর্তাদের। বিসিডি-এর কৃষ্ণনগর জোনাল কমিটির সম্পাদক শ্যামল সিংহরায় বলেন, ‘‘আমাদের উদ্যোগ সফল। ওষুধ ব্যবসায়ীরাও সতর্ক থাকছেন। ধারাবাহিকভাবে এমন নজরদারি চালাতে থাকলে আগামিতে ক্রেতাদের প্রতারিত হওয়ার ঘটনা অনেকটাই কমবে।’’ নদিয়া জেলা ড্রাগ কন্ট্রোল আধিকারিক গণেশচন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে সংগঠনের তরফে আমাদের কিছুই জানানো হয়নি তবে এই ধরণের উদ্যোগকে স্বাগত।’’ |
|
|
|
|
|