|
|
|
|
নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল |
|
চিকিৎসক নেই, ধুঁকছে পরিষেবা
নিজস্ব সংবাদদাতা • নবদ্বীপ |
|
চিকিৎসক একজনই। কিন্তু দিনে শ’পাঁচেক রোগী ভিড় করেন হাসপাতালে। লম্বা লাইন লেগেই থাকে সারা দিন।
নবদ্বীপ এবং পড়শি জেলা বর্ধমানের পূর্বস্থলী মিলিয়ে প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষের ভরসা এই নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল। কিন্তু সেখানে না আছে পরিকাঠামো, না রয়েছে চিকিৎসক। গত ১ জুলাই থেকে হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগে এক জনই চিকিৎসক রয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই রোগীর চাপ সামলাতে ওই চিকিৎসকের পাশাপাশি নাভিশ্বাস উঠছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষেরও। চিকিৎসকের অভাবে তাই অনেক সময়েই কারণে-অকারণে রোগীদের ‘রেফার’ করে দেওয়া হচ্ছে অন্যত্র।
১৬ জুন এই হাসপাতালের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পরিদর্শনে এসেছিলেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা। হাসপাতাল ঘুরে দেখে স্বাস্থ্য দফতরের মাল্টি ডিসিপ্লিনারি কমিটির চেয়ারম্যান সুব্রত মৈত্র বলেছিলেন, “হাসপাতালে কর্মী ও চিকিৎসকের ঘাটতি রয়েছে। এ ব্যাপারে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” হাসপাতালের সুপার স্বপনকুমার দাস ও জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অমিত হালদারের সামনেই তিনি বলেছিলেন, “রোগীরা যাতে এখানে সব রকম পরিষেবা পান, তার দিকে নজর রাখবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।” কিন্তু সেই পর্যন্তই। ৩০ জুন নবদ্বীপ স্টেট জেনারেল হাসপাতাল থেকে অবসর নেন মেডিসিন বিভাগের এক চিকিৎসক। তার দিন কয়েক আগে ওই বিভাগের আর এক চিকিৎসককে বদলি করে পাঠানো হয় কালনা হাসপাতালে। একই সময়ে ইস্তফা দেন এক চিকিৎসক। ফলে চার চিকিৎসকের ওই বিভাগের দায়িত্বে আপাতত একজনই। প্রতিদিন এই বিভাগে এই হাসপাতালে ৫০০ রোগী আসেন। সুপার স্বপনবাবু বলেন, “এক জন মাত্র চিকিৎসকের পক্ষে তো সাত দিন কাজ করা সম্ভব নয়। ফলে ওই চিকিৎসকের ছুটির দিনে অন্য বিভাগের চিকিৎসকেরা মেডিসিন বিভাগও সামলাচ্ছেন। আমার এ ক্ষেত্রে কিছুই করার নেই।” মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অমিতবাবু বলেন, “আমি কী করব? হাসপাতালে চিকিৎসক নেই। যা করার করতে হবে সুপারকেই।”
অতএব মাসুল গুনছেন রোগীরা। |
|
|
|
|
|