|
|
|
|
নারী পাচারের অভিযোগে ধৃত |
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
নারী পাচারের অভিযোগে এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মফিজুল সর্দার নামে ওই দুষ্কৃতীর বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের খর্দর সিং গ্রামে। কিছুদিন আগে গ্রাম থেকে দু’জন কিশোরী নিখোঁজ হয়। কাজের নামে করে সে ওই কিশোরীদের ফুসলে নিয়ে গিয়েছে বলে স্থানীয় মানুষের অভিযোগ। রবিবার তারাই তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ নিখোঁজ দুই কিশোরীকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খর্দর সি গ্রাম-সহ স্বরূপনগরের আশপাশের কয়েকটি গ্রাম হতদরিদ্র। গ্রামের মানুষের চাষবাসই ভরসা। তার উপর বেশিরভাগেরই অন্যের জমিতে কাজ করে দিন চলে। হতদরিদ্র পরিবারগুলির আর্থিক দূরবস্থার সুযোগ নেয় মফিজুলের মতো কিছু দুষ্কৃতী। মফুজুলের বাড়ি বসিরহাটের রজবআলিপুর গ্রামে। কিন্তু বিয়ে করে সে খর্দর সং গ্রামে থাকতে শুরু করে। সম্প্রতি ওই গ্রাম থেকে এক কিশোরী নিখোঁজ হয়। তার বাবা পুলিশের দ্বারস্থ হন।তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে ভিন রাজ্যে মোটা মাইনের পরিচারিকার কাজের লোভ দেখিয়ে ওই কিশোরেীকে পাচার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে মেয়ের খোঁজে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছে যান কিশোরীর বাবা। খোঁজখবর নিয়ে জানা যায়, মফিজুল ও তার স্ত্রী একটি চক্রের সঙ্গে জড়িত। ওই চক্রের কাজ হল গ্রামে গ্রামে ঘুরে গরিব মেয়েদের কাজের লোভ দেখিয়ে দিল্লি, মুম্বই নিয়ে গিয়ে সেখানে যৌনপল্লিতে বিক্রি করে দেওয়া। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরী নিখোঁজ হওয়ার পর এলাকা ছাড়া হয়ে যায় মফিজুল ও তার স্ত্রী। এতে তাদের উপর সন্দেহ বাড়ে গ্রামবাসীদের। সম্প্রতি মফিজুলরা গ্রামে ফিরলে গ্রামবাসীরা তাদের আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন।
শুধু ওই কিশোরীই নয়, গ্রাম থেকে আরও এক কিশোরীও কিছুদিন আগে নিখোঁজ হয়। পরে ওই কিশোরী ফোনে জানায় তাকে কলকাতার এক অজ্ঞাত জায়গায় দুষ্কৃতীরা লুকিয়ে রেখেছে। পুলিশ ওই ফোনের সূত্রে ধরে মেয়েটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করছে। |
|
|
|
|
|