|
|
|
|
দলের সব স্তরে কমিটি গঠনে জোর তৃণমূল নেতৃত্বের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
রাজ্যে ক্ষমতায় আসার বর্ষপূর্তি হয়েছে। এখনও দলের সব স্তরে কমিটি গড়তে পারেনি তৃণমূল। তার উপর গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব, সংঘর্ষ লেগেই রয়েছে। অবস্থা সামলাতে দ্রুত সব স্তরে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল দলের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির বৈঠকে। রবিবার মেদিনীপুর শহরের ফেডারেশন হলে এই বৈঠক হয়। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয়েছে, এক মাসের মধ্যে সব স্তরে কমিটি গড়া হবে। জেলা পার্টি অফিস তৈরির প্রস্তাবও নেওয়া হয়েছে। জোর দেওয়া হয়েছে জঙ্গলমহলে রাজনৈতিক কর্মসূচি বৃদ্ধির উপরেও। দলের চেয়ারম্যান মৃগেন মাইতি বলেন, “যে সব জায়গায় কমিটি নেই, সেখানে দ্রুত কমিটি গঠনের প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। জেলা পার্টি অফিস তৈরিরও প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে।” জেলা সভাপতি দীনেন রায়ের বক্তব্য, “সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত রাজ্য নেতৃত্বকে জানানো হবে। তাঁরা যা নির্দেশ দেবেন, সেই মতো পদক্ষেপ করা হবে।”
পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের জেলা কমিটি নেই। সভাপতি, কার্যকরী সভাপতি ও চেয়ারম্যান এই তিন জনকে সামনে রেখেই দল চলছে। কেশপুর, গড়বেতার মতো এলাকা ছাড়া বেশ কয়েকটি ব্লকেও কমিটি নেই। যে সব জায়গায় কমিটি রয়েছে, সেখানেও নেতাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অভিযোগ আসছে। সম্প্রতি ডেবরার সভাপতি অলোক আচার্যকে সরিয়ে রতন দে কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। শনিবারই কমিটিহীন গড়বেতা ব্লকে দিলীপ পালকে ব্লকের আহ্বায়ক বলে ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকেই গড়বেতা জুড়ে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দিলীপবাবুকে আহ্বায়ক করার প্রতিবাদে রবিবার গড়বেতায় মোটর বাইক মিছিলও হয়। এ দিনের সভায় গড়বেতার নেতা কবিরুল ইসলামকে ‘সাসপেন্ড’ করা হয়।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, ২১ জুলাইয়ের পর রাজ্য কমিটি সব অভিযোগ খতিয়ে দেখে জেলায় সংগঠনের চেহারাটাই বদলে দিতে পারেন। তার প্রতিটি ব্লক কমিটির নেতাদের ডেকে মেদিনীপুরে বৈঠকের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্লক কমিটির নেতাদের বক্তব্য রাজ্য কমিটির কাছে পাঠানো হবে। জেলা কমিটিতে কাদের সাধারণ সম্পাদক ও সম্পাদক করা হবে তার তালিকাও রাজ্য কমিটির কাছে পাঠানো হবে। তারপর রাজ্য নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেবেন। দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, জঙ্গলমহলে মাওবাদীদের সক্রিয়তা বৃদ্ধি ও জনজাগরণ কমিটির কাযর্কলাপ নিয়ে এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়। এই পরিস্থিতিতে জঙ্গলমহলে দলীয় কর্মসূচি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল। ২১ জুলাইয়ের শহিদ স্মরণে জেলা থেকে লক্ষাধিক মানুষকে শান্তিপূর্ণভাবে কলকাতায় নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারেও আলোচনা হয়েছে। |
|
|
|
|
|