মেদিনীপুর ও চন্দ্রকোনা রোড
গোষ্ঠী সংঘর্ষে জখম, ভাঙচুর
তৃণমূলের গোষ্ঠীসংঘর্ষ লেগেই রয়েছে পশ্চিমে। শনিবার চন্দ্রকোনা রোডের কড়সা পঞ্চায়েতের গুয়াইদহ এলাকায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ধুন্ধুমার বাধে। এলাকা দখল নিয়ে ঝামেলা। গভীর রাতে একটি গোষ্ঠীর লোকজন গুয়াইদহ দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর চালায়। রবিবার সকালেও উত্তেজনা ছিল। দু’পক্ষই লোক জড়ো করেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ এসে সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। ক্রমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তবে এলাকায় পুলিশি টহল চলছে। মেদিনীপুর সদর ব্লকের রাজারবাগানেও একটি পাম্প তৈরির কাজ ঘিরে গণ্ডগোল হয় এ দিন। মোট ৪ জন জখম হয়েছেন। তৃণমূল নেতৃত্ব সিপিএমের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ তুললেও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নব্য তৃণমূল ও প্রকৃত তৃণমূলের মধ্যেই গণ্ডগোল হয়েছে রাজারবাগানে।
কয়েকদিন ধরেই চন্দ্রকোনা রোডের গুয়াইদহতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর অশান্তি চলছিল। এক দিকে ব্লক তৃণমূল সভাপতি নিমাই বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামীরা, অন্য দিকে ব্লক সাধারণ সম্পাদক আকাশদীপ সিংহ ও কবিরুল ইসলামের (এ দিনই দল থেকে সাসপেন্ড) অনুগামীরা। এলাকা দখলকে কেন্দ্র করেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। পঞ্চায়েতের কাজকর্মের দেখভাল কারা করবে, এলাকায় কোনও সমস্যা হলেই বা কারা দায়িত্ব নেবেএ সব নিয়ে ঠান্ডা লড়াই চলছিল দুই গোষ্ঠীর মধ্যে। দু’-একদিন অন্তর মিটিং, মিছিলও হচ্ছিল। তৃণমূল সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার থেকে পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হতে থাকে। ওই দিন সন্ধেয় একপ্রস্থ মারপিটও হয়। শুক্রবারের হাতাহাতিতে উভয় পক্ষের জনা চারেক অল্প-বিস্তর জখম হন। শনিবার বিকেলে ফের সংঘর্ষ বাধে। ঘটনায় ৩ জন জখম হন। একটি গোষ্ঠীর সমর্থকেরা গুয়াইদহ আঞ্চলিক অফিসের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে টিভি, চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। দলের পতাকা ও ফেস্টুন নষ্ট করা হয়। রবিবার সকালে দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করে। স্থানীয় নেতা তথা শালবনির তৃণমূলের বিধায়ক শ্রীকান্ত মাহাতো বলেন, “গুয়াইদহতে একটা গণ্ডগোল হয়েছে। দলীয় অফিস ভাঙচুর হয়েছে। পুলিশকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে।” ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
রাজারবাগানে পাম্প তৈরির কাজ ঘিরে গণ্ডগোল। শনিবার সকালে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এক দফা বচসা হয়। পরে সন্ধ্যায় ফের সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দু’পক্ষ। ৪ জন জখম হন। তাঁদের মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মহম্মদ আকবর খান বলেন, “পরিকল্পনামাফিক হামলা চালানো হয়েছে। আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী জখম হন। ঘটনার সঙ্গে সিপিএমই যুক্ত।” অভিযোগ উড়িয়ে সিপিএমের মেদিনীপুর গ্রামীণ (পূর্ব) জোনাল কমিটির সম্পাদক নিরঞ্জন মাইতি বলেন, “ঘটনার সঙ্গে আমাদের কেউ জড়িত নন। তৃণমূলের লোকজনদের মধ্যে গোলমাল হয়েছে বলে শুনেছি।”


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.