অবৈধ ভাবে জমি বিক্রি, গ্রেফতার ২ |
জমির মালিককে না জানিয়েই ভুয়ো কাগজপত্র দাখিল করে ওই জমি বিক্রির করে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল দু’জনকে। শ্রীরামপুরের পেয়ারাপুরে ওই জমির মালিক চায়না ভুঁইঞা। তিনি থাকেন সল্টলেকে সেক্টর-৪ সুকান্তনগরে। সম্প্রতি শ্রীরামপুর থানায় লিখিত অভিযোগে তিনি জানান, নীলকান্ত মণ্ডল, হেমম্ত মণ্ডল, তাপস সেন, অসিত দাস, শিবু মেটে-সহ শ্রীরামপুরের কয়েক জন বাসিন্দা তাঁকে ওই জমিটি বিক্রির জন্য ‘অনুরোধ’ করছিলেন। কিন্তু চায়নাদেবী প্রায় ৯০ শতক ওই জমি বিক্রিতে রাজি ছিলেন না। কিছু দিন আগে তিনি জানতে পারেন, ভুয়ো কাগজপত্র তৈরি করে ওই জমি বিক্রি হয়ে গিয়েছে। ওই কাগজপত্র হাতে আসায় তিনি দেখেন, তাপস বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তিকে জমির ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ দেওয়া হয়েছে। চায়নাদেবীর দাবি, তিনি কাউকে এই অধিকার দেননি। জমি অবৈধ ভাবে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগ পাওয়ার পরে শ্রীরামপুর থানার পুলিশ তদন্তে নামে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, অভিযোগ সত্য। ওই জমির সঠিক কাগজপত্র চায়নাদেবীর কাছে আছে। অসিত ও নীলকান্ত নামে শ্যাওড়াফুলির জগদ্ধাত্রীপাড়া দুই বাসিন্দাকে পুলিশ শনিবার গ্রেফতার করে। বাকিরা পলাতক বলে থানা সূত্রে জানানো হয়েছে। ধৃত দু’জনকে রবিবার শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁদের ৫ দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশের দাবি, জেরায় ধৃত ব্যক্তিরা স্বীকার করেছেন, সরকারি কিছু লোকজনের সঙ্গে যোগসাজস করেই অবৈধ জমি বিক্রির ব্যবসা ফেঁদে বসেছে কিছু দুষ্কৃতী। হুগলির কুখ্যাত দুষ্কৃতী রমেশ মাহাতোর সাগরেদরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান শ্রীরামপুরের আইসি তথাগত পাণ্ডে।
|
রবিবার দুপুরে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল খানাকুলের দুই গ্রামের দু’জন বাসিন্দার। পুলিশ জানিয়েছে মৃতেরা হলেন, জরুর গ্রামের বাসিন্দা রবিন ভৌমিক (৫০) ও বলপাই গ্রামের সুপ্রভাত পাত্র (১৮)। মৃতদেহ দুটি ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪ জন। এঁদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে খানাকুল গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মাঠে পাট কাটার সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় রবিনবাবুর। আত্মীয়ের বাড়ি যাওয়ার পথে হাওড়ার সোনাতলায় বজ্রপাতে মারা যান সুপ্রভাত।
|
ছোট গাড়ি উল্টে রাস্তার ধারে নয়ানজুলিতে পড়ে গিয়ে ১৩ জন আরোহী আহত হলেন। রবিবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে শ্যামপুরের অনন্তপুরে। পুলিশ জানায়, সকলকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। |