আমাদের চিঠি

হারিয়ে যাচ্ছে লোক ঐতিহ্য
বীরভূমের বিষ্ণুপুর গ্রামের দুই বহুরূপী।
আধুনিকতার স্রোতে হারিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন লোক-ঐতিহ্যগুলি। যেমন বহুরূপী। বীরভূমের লাভপুর থানার বিষ্ণুপুর গ্রামে বহু বহুরূপীর বাস। পূর্বপুরুষের পদাঙ্ক অনুসরণ করে এদের পেশা বহুরূপী সাজা। এই গ্রামের ৫০টি পরিবারের মধ্যে ৪১টি পরিবারের পেশা বহুরূপী। লোক মুখে গ্রামটি বহুরূপী গ্রাম। বহুরূপীর সাজে সেজে এরা কলকাতা থেকে শুরু করে আসানসোল, মালদহ, মেদিনীপুর সর্বত্র ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু আজ আর আগের মতো মানুষ এদের প্রতি আগ্রহ দেখায় না। প্রতি দিনের আয় খুবই সামান্য। জনপ্রতি ৫০-৬০ টাকা। বর্তমানে পোশাকের দাম এত বেড়ে গিয়েছে যে এঁরা জীর্ণ-মলিন পোশাকে দিনের পর দিন একই সাজ সেজে যেতে বাধ্য হন। আয় কমে যাওয়ায় আজ আর নতুন করে এই পেশায় কেউ আসতে চান না। সরকারি সাহায্য থেকে এই বহুরূপী সমাজ বঞ্চিত। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি আমার একান্ত অনুরোধ, দয়া করে এদের নিয়ে একটু ভাবুন।
মদের কুটির শিল্প
হাওড়া জেলার পাঁচলা থানার দেউলপুর ও জালালসি গ্রামে সরকারি অনুদানে চাল, গম, কেরোসিন এবং রান্নার গ্যাস দেওয়ার দরকার নেই। এখানের বেশির ভাগ মানুষ সকাল থেকে রাত অবধি চোলাই নকল মদে চুর হয়ে থাকেন। এই সব মদ আসে সাঁকরাইল ও নিকটবর্তী এলাকা থেকে। এরা দলে ভারী ও পুলিশের বলে বলীয়ান। তাই আপত্তি ধোপে টেকে না। এ ছাড়া এখানে রাতে ভ্যাকুম বল (ছোট হালকা বল) প্রতিযোগিতা হয়। নির্দোষ খেলা। কিন্তু এর আড়ালে চলে যথেচ্ছ চোলাই ও নকল মদ খাওয়া। পুজো-পার্বণেও জুয়া ও মদের রমরমা। তা হয় স্থানীয় থানার চোখের সামনেই। এ সব দেখে মনে হয় সত্যিই বুঝি পশ্চিমবঙ্গে এখন মদের কুটির শিল্প চলছে।
বিপজ্জনক সেতু
বাঁকুড়া-ঝাড়গ্রাম মেন রাস্তার ওপর বেশ কয়েকটি সেতুর অবস্থা বর্ষাকালে চোখে পড়ার মতো। এগুলো নামেই সেতু। ভরাবাঁকি সেতুটির অবস্থা অত্যন্ত করুণ। এটি নিচু হওয়ার দরুণ বর্ষার জল ও মূল ক্যানেলের জল এক হয়ে বন্যার সৃষ্টি করে। জীবন হাতে বহু কষ্টে পার হতে হয়। আগের বর্ষায় দুই জনের প্রাণ গিয়েছে। কয়েকটি মোটর সাইকেল ও ছোট গাড়ি জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। শিলাবতী ও তারাফেনি সেতুতে জলের স্রোত ওঠায় যাতায়াত ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়। একই অবস্থা চামটাবাইদ-ঝাড়গ্রাম রোডের হাড়দা-বাতাবনী লাগোয়া ঢোলভাঙা খালটির। একেবারে নিচু হওয়ায় সেতুটি যান চলাচলের পক্ষে অচল। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
দূরে নিয়োগ
এসএসসি পরীক্ষার মাধ্যমে যাঁরা চাকরি পান, তাঁদের বাড়ি থেকে অনেক দূরের স্কুলে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। এতে খুবই অসুবিধে হয়। বিশেষ করে মহিলা শিক্ষকদের। যাতায়াতেই চলে যায় অনেকটা সময়। শিক্ষা বিভাগের কর্তারা একটু সচেষ্ট হলে এই সমস্যার সমাধান করা যায়।
নতুন কাউন্টার
গোবরডাঙা রেলস্টেশনের পশ্চিম দিকটি এই পৌরসভার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। হাসপাতাল, কলেজ, বিদ্যালয়, অফিস রেলস্টেশনের পশ্চিম দিকে অবস্থিত। লক্ষাধিক মানুষ স্টেশনটির পশ্চিম থেকে মূল স্টেশনে আসা-যাওয়া করেন। টিকিট কাউন্টারটি স্টেশনের উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত হওয়ায় পশ্চিম দিকের যাত্রীদের টিকিট কেটে আপ ও ডাউন ট্রেন ধরা বেশ কষ্টকর। এখানকার মানুষের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে রেল কর্তৃপক্ষ স্টেশনের পশ্চিম দিকে একটি টিকিট কাউন্টার খোলার ব্যবস্থা করে। পরে জানা যায় ওই অনুমোদন বাতিল হয়ে গিয়েছে। উক্ত কাউন্টারটি খোলার বিষয়টি পুনর্বিবেচনার জন্য রেল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তা হলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন।
নবদ্বীপ ধাম স্টেশন
‘নবদ্বীপ নাগরিক অধিকার কমিটি’ ও ‘নবদ্বীপ পুরাতত্ত্ব পরিষদ’ নবদ্বীপবাসীর পক্ষ থেকে নবদ্বীপ ধাম স্টেশনটিকে হেরিটেজ স্টেশনের মর্যাদা দেওয়ার আবেদন জানিয়ে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদব থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত সকলের কাছে বহু বার দরবার করেছে। প্রতিশ্রুতি মিলেছে, কিন্তু তা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯১২-এর ১ এপ্রিল নবদ্বীপ ধাম স্টেশনটি স্থাপিত হয়। স্টেশনটির একশো বছর পূর্তিতেও তা অবহেলায় পড়ে রয়েছে।
এই বিভাগে চিঠি পাঠান সম্পূর্ণ নাম ও ঠিকানা উল্লেখ করে।
আমাদের চিঠি
সম্পাদকীয় বিভাগ,
আনন্দবাজার পত্রিকা প্রাঃ লিঃ,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা-৭০০০০১



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.