বিমানবন্দরের ভিতরে যাঁরা পাখি তাড়িয়ে বেড়ান, তাঁদেরই দু’জন চলে এসেছিলেন রানওয়ের কাছাকাছি। বিপদের আশঙ্কা করে কলকাতায় নামার সময় তাই ঘুরিয়ে দিতে হল দু’টি বিমানের মুখ। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকালে। নিয়ম অনুযায়ী, রানওয়ে থেকে প্রায় ১৫০ মিটার দূরে থাকার কথা পাখি তাড়ানোর সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের। কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে, এ দিন তাঁরা রানওয়ের কাছে চলে এসেছিলেন।
সকাল ১০টা ২০ মিনিটে মুম্বই থেকে এসে নামার সঙ্গে সঙ্গেই তা দেখতে পান ইন্ডিগোর পাইলট। রানওয়ে ছেড়ে বেরোনোর মুখে তিনি বিষয়টি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি) অফিসারদের জানান। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, তখন কলকাতায় নামার জন্য আকাশে ছিল ইনডিগোর একটি বিমান। সেটি জয়পুর থেকে আসছিল। ১০টা ২১ মিনিটে তার নামার কথা ছিল। তারও পিছনে ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার পোর্ট ব্লেয়ার-কলকাতা উড়ান।
পাখি তাড়ানোর সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা রানওয়ের কত কাছে রয়েছেন, সত্যিই বিপদের আশঙ্কা আছে কি না তা খতিয়ে না দেখে দু’টি বিমানকে নামার অনুমতি দেওয়া সম্ভব ছিল না বলে জানিয়েছেন বিমানবন্দরের এক অফিসার। কারণ, নামার সময়ে কাছাকাছি মানুষ দেখতে পেয়ে পাইলটদের মনঃসংযোগে ব্যাঘাত ঘটতে পারত, দুর্ঘটনারও আশঙ্কা ছিল। তাই ইন্ডিগো এবং এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দু’টিকে মুখ ঘুরিয়ে আবার উড়ে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। পরে ১০টা ৩৯ মিনিটে এয়ার ইন্ডিয়া এবং ১০টা ৪২ মিনিটে ইন্ডিগোর বিমানটি নামে। ততক্ষণে রানওয়ে পর্যবেক্ষণ করে দেখা গিয়েছে, রানওয়ের যতটা কাছে ওই দুই কর্মী ছিলেন বলে পাইলট মনে করেছিলেন, ততটা কাছাকাছি তাঁরা ছিলেন না। তবে, ১৫০ মিটারের যে নিয়ম মানার কথা তা-ও মানা হয়নি বলে বিমানবন্দর সূত্রে জানা গিয়েছে। |