|
|
|
|
বিদেশি লগ্নিই নয় একমাত্র দাওয়াই, মন্তব্য মন্টেকের |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
বিদেশি লগ্নিকেই অর্থনীতির একমাত্র পরিত্রাতা হিসেবে দেখা ঠিক নয় বলে মন্তব্য করলেন যোজনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান মন্টেক সিংহ অহলুওয়ালিয়া। তাঁর মতে, বরং দেশি সংস্থার বিনিয়োগই অর্থনীতির চাকাকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
বিদেশি লগ্নি নিয়ে রাজনৈতিক চাপান-উতোর এবং প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও কেন্দ্রের আর্থিক উপদেষ্টা কৌশিক বসুর সওয়ালের মধ্যেই মন্টেকের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। রবিবার তিনি বলেন, “যেখানেই বেশ কিছু নামী-দামি দেশি সংস্থা বিনিয়োগে উৎসুক, সেখানেই মানুষ অর্থনীতির এগিয়ে যাওয়া নিয়ে বেশি নিশ্চিন্ত বোধ করেন।” মন্টেকের মতে ভারতীয় সংস্থার উপরেই দেশবাসীর আস্থা স্বাভাবিক ভাবে বেশি। ভারতীয় সংস্থার বিদেশে লগ্নির ঝাঁপি নিয়ে হাজির হওয়া ভাল লক্ষণ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “বিভিন্ন ভারতীয় সংস্থা যে বিদেশে পা রাখছে, তা প্রমাণ করে যে, আমাদের অর্থনীতি যথেষ্ট পরিণত।”
অর্থনীতির চাকায় গতি ফেরানো প্রসঙ্গে মন্টেক জানান, এই প্রথম বিভিন্ন মন্ত্রকের হাতে থাকা সমস্ত উন্নয়নমুখী প্রকল্পে প্রতি তিন মাসের জন্য লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কোন প্রকল্প কতটা এগোচ্ছে, সেই খতিয়ান নেওয়া হবে তিনটি স্তরে। তিনি জানান, বিভিন্ন মন্ত্রকের ছাড়পত্র পেতে দেরির কারণেই পরিকাঠামোগত প্রকল্প ঝুলে থাকে।
দেশের অর্থনীতি যে ‘কিছুটা অসুবিধা’র মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে, সে কথা এ দিন মেনে নিয়েছেন মন্টেক। আর্থিক বৃদ্ধির হার গত অর্থবর্ষের শেষ তিন মাসে ৫.৩ শতাংশে নেমে আসাটা ‘খারাপ’ বলে তিনি মন্তব্য করেন। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, ওই হার আরও নীচে নামলে পরিস্থিতি ঘোরালো হবে। অর্থনীতির হাল ফেরাতে যে সব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাতে কাজ দেবে বলে আশাবাদী মন্টেক। কোথাও বিশেষ কোনও সমস্যা বা জোগানে ঘাটতি চিহ্নিত করা গেলে প্রধানমন্ত্রীর দফতর সংশ্লিষ্ট সচিবদের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেবে। এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করতে শুরু করেছেন বলে সরকারের দাবি।
এ দিনই সরকারের একটি সূত্রে জানানো হয়েছে, আগামী ১১ জুলাই রাজ্যগুলিকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে বৈঠক ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে সেখানে মূলত উত্তরপ্রদেশের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হতে পারে। মুলায়ম সিংহ যাদব রাষ্ট্রপতি ভোট-সহ বিভিন্ন বিষয়ে ইউপিএ সরকারের পাশে দাঁড়ানোর পরে মুলায়ম-পুত্র অখিলেশ শাসিত উত্তরপ্রদেশকে প্যাকেজ দেওয়ার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক শিবিরের একাংশ। ওই বৈঠকে বিহার নিয়েও কথা হতে পারে।
এ দিন ডিজেলের দামে নিয়ন্ত্রণ তোলার বিষয়ে মন্টেক বলেন, “কোনও না কোনও সময়ে সব পেট্রোপণ্যের দামই কিছুটা হলেও বাজারের হাতে ছাড়তে হবে।” কৌশিকবাবুর সুরেই তিনি জানান, ভর্তুকি না কমালে লগ্নির সুফল পুরোমাত্রায় মিলবে না। প্রসঙ্গত, কৌশিকবাবুও ‘বুদ্ধি খাটিয়ে’ ডিজেলের দামের উপর নিয়ন্ত্রণ আংশিক তোলার পক্ষে সওয়াল করেছেন। |
|
|
|
|
|