ঝাড়খণ্ডে মিত্তলের প্রকল্পের বিরোধিতায় সুর চড়াল আদিবাসী মঞ্চ |
ভারতে তাঁর প্রস্তাবিত ইস্পাত প্রকল্প আটকে থাকা নিয়ে ক’দিন আগেই হতাশা ব্যক্ত করেছেন লক্ষ্মী মিত্তল। এ বার সেই হতাশা আরও বাড়ানোর রাস্তা তৈরি করে ঝাড়খণ্ডে আর্সেলর-মিত্তল প্রস্তাবিত ইস্পাত কারখানা তৈরির বিরুদ্ধে কার্যত জেহাদ ঘোষণা করল আদিবাসী মূলবাসী অস্তিত্ব রক্ষা মঞ্চ। জানিয়ে দিল প্রকল্পের বিরোধিতা চালিয়েই যাবে তারা। মঞ্চের মুখ্য আহ্বায়ক দয়ামণি বার্লা স্পষ্টই জানিয়েছেন, “আরও কোনও নতুন ইস্পাত সংস্থাকে ঝাড়খণ্ডে প্রকল্প গড়তে দেব না আমরা। ওই সমস্ত শিল্পপতিরা নিজেদের মুনাফার স্বার্থে অকাতরে বনাঞ্চল ও উর্বর কৃষিজমি ধ্বংস করেন।” তাঁর আশঙ্কা, আর্সেলর-মিত্তল কারখানা তৈরি হলেও এ ভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে গুমলা ও খুন্তি জেলার ৪০টি গ্রাম। বস্তুত, কিছু দিন আগেই নিউ ইয়র্ক থেকে বিশ্বের বৃহত্তম ইস্পাত প্রস্তুতকারক আর্সেলর-মিত্তলের কর্ণধার লক্ষ্মী মিত্তল ভারত সরকারের উদ্দেশে বার্তা দেন, “সেখানে জমি অধিগ্রহণ ও কাঁচামাল পাওয়া নিয়ে বড়সড় কয়েকটি চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে আমাদের প্রস্তাবিত লগ্নি। কিন্তু যাই হোক না কেন, দ্রুত সমস্ত বাধা-বিঘ্ন দূর করার পথ সরকারকেই খুঁজে বার করতে হবে।” কিন্তু বার্লাদের এই বিরোধিতার মুখে দাঁড়িয়ে ভারত সরকারের প্রতিই বা এই মুহূর্তে তিনি কতটা আস্থা রাখতে পারবেন, এ বার তা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
বার্লা জানিয়েছেন, ঝাড়খণ্ড সরকার যে মোট ১০৪টি মউ-এ সই করেছে, তার মধ্যে ৯৮টিই ইস্পাত সংস্থার সঙ্গে। সে ক্ষেত্রে তাঁর প্রশ্ন, যে দীর্ঘ মেয়াদি উন্নয়নের কথা বার বার বলে আসছে রাজ্য, প্রতিটি গ্রামে ইস্পাত কারখানা তৈরি করেই কি সেই উন্নয়ন আনতে চায় তারা! যা কার্যত বলি দেবে এলাকার পরিবেশ ও বনাঞ্চলকে।
প্রসঙ্গত, গত ২০০৫ সালে ঝাড়খণ্ড সরকারের সঙ্গে ইস্পাত প্রকল্প গড়ার জন্য মউ সই করেছিল আর্সেলরমিত্তল। তার পর গত ২০০৯-এ বণিকসভা অ্যাসোচ্যাম জানিয়েছিল, মিত্তল তাঁর প্রয়োজন মেটানোর জন্য সে রাজ্যে খনি পেয়েছেন, কিন্তু জমি পাননি। প্রকল্পটি থেকে প্রত্যক্ষ ভাবে ৫,৫০০ এবং পরোক্ষ ভাবে ২০,০০০ কর্মসংস্থানের সম্ভাবনার কথাও বলেছিল বণিকসভাটি।
|
প্রায় ৬০০ কোটি টাকায় মার্কিন সংস্থা টেরাস বে পাল্প-কে কিনে নেওয়ার কথা ঘোষণা করল আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠী। কাগজ তৈরির কাঁচামাল উৎপাদনকারী এই সংস্থায় পর্যায়ক্রমে আরও ১,৪০০ কোটি টাকা লগ্নি করবে তারা। এই অধিগ্রহণ কৌশলগত দিক থেকে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলে গোষ্ঠীর চেয়ারম্যান কুমার মঙ্গলম বিড়লার দাবি।
|
হাতি-চড়তে প্রস্তাব অনলাইন বুকিংয়ের |
পুজোর মরশুমে জলদাপাড়ায় হাতির পিঠে চড়তে অনলাইন বুক করতে পারেন পর্যটকেরা। হয়রানি কমাতে ও বিদেশী পর্যটক টানতে এ নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছে পর্যটন উন্নয়ন নিগম ও বন দফতর। নিগমের প্রস্তাব পাঠিয়েছে বন দফতরের কাছে। পর্যটন উন্নয়ন নিগমের জলদাপাড়া ট্যুরিস্ট লজের ম্যানেজার নিরঞ্জন সাহা বলেন, “এই ব্যবস্থা চালু হলে দেশি-বিদেশী পর্যটকের হয়রানি কমবে।” হাতির পিঠে চড়ার জন্য পর্যটন মরসুমে ভিড় উপচে পড়ে। কোচবিহারের ডিএফও রাজেন্দ্র জাখরও মনে করেন এতে পর্যটকদের সুবিধা হবে। |