বাসে চাপা পড়ে মৃত্যু স্কুলছাত্রীর |
টিউশন পড়তে যাওয়ার পথে বাসে চাপা পড়ে মৃত্যু হল এক স্কুলছাত্রীর। শনিবার সকালে দুর্ঘটনাটি ঘটে বহড়া-বেলিয়া সড়কে, ময়ূরেশ্বরের তালারপাড় সংলগ্ন এলাকায়। মৃত ছাত্রীর নাম সুপ্রিয়া দাস (১৩)। বাড়ি তাঁতিপাড়ায়। সুপ্রিয়া লোকপাড়া উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকালে সুপ্রিয়া সাইকেলে চেপে লোকপাড়ায় টিউশনি পড়তে যাচ্ছিল। তালারপাড়ের কাছে মুর্শিদাবাদের কান্দিগামী একটি বেসরকারি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরই স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ক্ষুব্ধ হয়ে ওই বাসটিতে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাঠ চালায়। তাঁদের দাবি, ড্রাইভিং লাইসেন্সহীন চালক দিয়ে ওই বাসটিকে চালানো হচ্ছিল। চালক ও সহকারিদের অন্যমনস্কতার কারণেই ছাত্রীটির মৃত্যু হয়েছে। এই অভিযোগে দীর্ঘক্ষণ মৃতদেহ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায় তাঁরা। পরে দুপুর ১টা নাগাদ পুলিশ এবং ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের বিডিও বাবুলাল মাহাতোর হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। বাসের চালক ও কর্মীরা পলাতক। সুপ্রিয়ার দেহ ময়না-তদন্তের জন্য রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ দিকে বিডিও বাবুলাল মাহাতো বলেন, “ওই বাসের চালককে চিহ্নিত করার জন্য পুলিশকে বলেছি। ভাঙচুর ও লুটপাঠের অভিযোগও খতিয়ে দেখা হবে।”
|
দুষ্কৃতীদের বোমায় জখম স্বর্ণ ব্যবসায়ী |
বাড়ির সামনেই দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হলেন এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী। রবিবার রাত ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে সাঁইথিয়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মুরাডিহি কলোনিতে। বাবুলাল বসাক নামে ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে প্রথমে সাঁইথিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তাঁকে সিউড়ি সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন রাতে সাঁইথিয়ার ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী রিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির সামনে রিকশা থেকে নামার সময় খুব কাছ থেকে তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে একদল দুষ্কৃতী। ঘটনায় মনোজ দাস নামে ওই রিকশাচালকও আহত হয়েছেন। তিনি বর্তমানে সাঁইথিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে ওই দুষ্কৃতীরা মোটরবাইকে চেপে এসেছিল। বাবুলালবাবুর কাছ থেকে বাধা পেয়ে তারা বোমা ছুড়ে সাঁইথিয়া-লাভপুর রাস্তা ধরে পালিয়ে যায়। ওয়ার্ড কাউন্সিলর রবি বসাক বলেন, “বাবুলালবাবুর চোখে ও হাতে আঘাত লেগেছে।” বীরভূমের পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “ওই দুষ্কৃতীদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।”
|
ময়ূরেশ্বর ১ ব্লকের পরে এ বার নলহাটি ১ ব্লকেও কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার নলহাটি ১ পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেস সদস্য তথা প্রাক্তন সভাপতি মহম্মদ রফিউদ্দিন এবং রবিবার বড়লা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান দীনবন্ধু মাল তৃণমূলে যোগ দেন। মহম্মদ রফিউদ্দিনের অভিযোগ, “সভাপতি থাকাকালীন চক্রান্ত করে অনাস্থা এনে আমাকে অপসারিত করা হয়। পরে কংগ্রেস নেতৃত্ব আমার ভূমিকাকে গুরুত্ব দেয়নি। সদস্য হিসেবে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে আমাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বানিওড় পঞ্চায়েতকেও বঞ্চিত করেছে পঞ্চায়েত সমিতি। তাই তৃণমূলে যোগ দিতে বাধ্য হয়েছি।” জেলা কংগ্রেস সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, “আজ যাঁরা কংগ্রেস ছেড়ে অন্য দলে যাচ্ছেন তাঁদের কোনও নিয়মনীতি নেই। তাঁরা ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করতে এই কাজ করছেন।”
|
সিউড়িতে প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী |
মারা গেলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী অনিল মিত্র। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। বিছুদিন ধরে তিনি বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। শুক্রবার সিউড়ির হাটজনবাজার এলাকায় একটি বেসরকারি বৃদ্ধাশ্রমে তিনি মারা যান। তাঁর বাড়ি রাজনগরের হরিপুরে হলেও তিনি ওই বৃদ্ধাশ্রমে থাকতেন।
|
বেলিয়াতোড়ের ছাত্রী খুনের অভিযোগে ধৃত যুবকের তিন দিনের পুলিশ হেফাজত হল। ধৃত পার্থ মণ্ডলকে রবিবার বাঁকুড়া আদালতে তোলা হয়। বেলিয়াতোড়ের পুরুষোত্তমপুরের বাসিন্দা সমাপ্তি মণ্ডলকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ায় তা নাকচ করায় শনিবার পার্থ তাকে খুন করে বলে অভিযোগ। পুলিশ সুপার মুকেশ কুমারের দাবি, “জেরায় পার্থ পুলিশের কাছে খুনের কথা স্বীকার করেছে।” শনিবার ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র খুড়তুতো ভাই পিন্টুকে নিয়ে সমাপ্তি টিউশন পড়তে সময় তার উপর হামলা হয়। ছুরি আঘাতে গলার নলি কেটে রক্তক্ষরণ হওয়ায় সমাপ্তির মৃত্যু হয়। |