সংস্কৃতি যেখানে যেমন
|
সঙ্গীতাসরের ১৩ বছর |
বিষ্ণুপুর ঘরানার উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত শিক্ষাদান ও তার প্রচার-প্রসারের উদ্দেশ্যে গত ২০০০ সাল থেকে প্রতি শনি-রবিবার বসছে সঙ্গীতাসর। প্রশিক্ষক হিসেবে শুরু থেকে রয়েছেন বিষ্ণুপুর ঘরানার বিশিষ্ট শিল্পী জগন্নাথ দাশগুপ্ত। জগন্নাথবাবু জানান, বিষ্ণুপুরের সংগীত ধারার প্রতি শ্রদ্ধাশীল অসিত চন্দের উদ্যোগে গড়ে ওঠা এই আসর এ বার ১৩ বছরে পড়ল। বিশ্ব সংগীত দিবসে এই উপলক্ষে উদয়ন লজে আয়োজিত হল একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন সঙ্গীতাসরের ২৫ জন শিক্ষার্থী।
|
নাট্যশিল্পী |
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এমন বহু নাট্যশিল্পী আছেন, যাঁরা হয়তো প্রচারের ‘মেট্রোপলিটন’ লাইমলাইটে নেই। কিন্তু জেলায় যে নাটক নিয়ে অনেক সিরিয়াস
|
উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় |
এবং যোগ্য কাজ হয়, তার অন্যতম প্রমাণ লাভপুরের উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়। পরপর বেশ কয়েকটি উৎকৃষ্ট নাটক উপহার দিয়েছেন তিনি। শুধু জেলায় নয়, রাজ্য ও রাজ্যের বাইরে বহু জায়গায় সমাদৃত হয়েছেন উজ্জ্বলবাবু। ৩৪ বছর বয়সী এই নাট্যকারের লেখা ও নির্দেশিত ১৮টি নাটক জেলা ছাড়াও কলকাতা, ফরাক্কা, মেদিনীপুর, পালামৌ, মেঘালয়, বিহার প্রভৃতি জায়গায় মঞ্চস্থ হয়েছে। এর মধ্যে লোকসংস্কৃতি নির্ভর ‘বোগলে বাইন’ ৩৮ বার, সাহিত্যিক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের গল্প নিয়ে ‘নাগিনীকন্যার কাহিনি’ ১৪ বার এবং মনসামঙ্গলের কাহিনি নিয়ে পুতুলনাচের আঙ্গিকে ‘বেহুলা লখিন্দর পালা’ ১১২ বার মঞ্চস্থ হয়েছে। উজ্জ্বলবাবুর ‘নাগিনীকন্যার কাহিনি’ নাটকটি জেলা ও রাজ্য যুব উৎসবে পুরস্কৃতও হয়েছে। নাটকের পাশাপাশি উজ্জ্বলবাবুর ৫টি বেতার নাটক সম্প্রচারিত হয়েছে শান্তিনিকেতনের এফএম স্টেশন থেকে। উজ্জ্বলবাবু পরিচিতি দিয়েছেন তাঁর নাট্যসংস্থা ‘বীরভূম সংস্কৃতি বাহিনী’কেও। ভারত সরকারের ‘পূর্বাঞ্চলীয় সংস্কৃতি কেন্দ্র’ প্রকাশিত একটি ইংরেজি জানার্লে তাঁর পুতুল নাচের আঙ্গিকে তৈরি পালার আলোচনাও বের হয়েছে। এ ছাড়াও লাভপুরের নানা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়। |
খায়রুল আনাম |
বাবা ছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান। ছেলে সংবাদপত্রে ওই পঞ্চায়েতেরই দুর্নীতির বিরুদ্ধে লিখলেন। রেগে যাননি বাবা। ছেলেকে দামি কলম উপহার দিয়ে
|
খায়রুল আনাম |
বলেছিলেন, “এই ভাবেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠো।” তিনি নানুরের উচ্চকরণ পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সিপিএম প্রধান প্রয়াত সোহরাব আলির পুত্র খায়রুল আনাম। খায়রুলবাবু বর্তমানে বোলপুরের দর্জিপাড়ার বাসিন্দা। প্রয়াত বাবার ওই উপদেশকে ব্রত করে ৩৩ বছর ধরে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে ‘বীরভূমের কথা’ নামে একটি সাপ্তাহিক খবরের কাগজ চালিয়ে আসছেন। খায়রুলবাবু অবশ্য প্রথম জীবনে নিজের গ্রাম নানুরের সাকেড্ডা থেকে ‘অনল’ নামে একটি সাহিত্য পত্রিকা (লিটল ম্যাগাজিন) প্রকাশ করতেন। ওই পত্রিকা চলেছিল ১৪ বছর। পাশাপাশি কোটাসুর থেকে প্রকাশিত ‘দিদিভাই’ সংবাদ সাপ্তাহিকেও কাজ করেছেন। সব মিলিয়ে টানা ৩৯ বছর তিনি দু’টি সাপ্তাহিক (এর অন্যতম ‘বীরভূমের কথা’) সম্পাদনা করেছেন। মাঝে ১৯৭৮-৮৫ সাল পর্যন্ত বিপ্লব হালিমের সংবাদ সাপ্তাহিকে বার্তা সম্পাদকের কাজও করেছেন। ওই সাপ্তাহিকে একসময় একটি প্রবন্ধ লিখে পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হতে হয়েছে খায়রুলবাবুকে। প্রায় চার বছর ধরে আদালতে মামলা চলার পর বিচারক তাঁকে বেকসুর খালাস করেছিলেন। আপোসহীন এই মানুষটির ক্ষেত্রে দিব্যি খেটে যায় বাংলার চিরকালীন এই প্রবাদ ‘অসির থেকে মসি বড়’।
|
|
সাঁইথিয়ায় স্থানীয় রবীন্দ্রমঞ্চে অনুষ্ঠান।
|
• সাঁইথিয়ার ‘কল্পনা স্মৃতি নৃত্যায়ণ’-এর দ্বিতীয় বার্ষিক উৎসব উপলক্ষে গত বুধবার স্থানীয় রবীন্দ্র মঞ্চে টানা আড়াই ঘণ্টা নৃত্যানুষ্ঠান উপভোগ করলেন দর্শক-শ্রোতারা। রবীন্দ্রসঙ্গীত, লোকগীতি, আধুনিক ও উচ্চাঙ্গসঙ্গীত নির্ভর হিন্দি গানের সঙ্গে নৃত্যে যোগ দিয়েছিলেন সাড়ে তিন বছরের শিশু থেকে তরুণ-তরুণীরা। মোট ৫৬ জন নৃত্যশিল্পী অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেছেন।
• গত ৩০ জুন সন্ধ্যায় স্থানীয় রবীন্দ্রসদন মঞ্চে সিউড়ির ‘দিশা নাট্যাঙ্গন’ একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। অনুষ্ঠানে শিল্পী অরূপ রায়ের নির্দেশনায় কিছু অন্য ধরণের গান পরিবেশিত হয়েছে। পাশাপাশি আমোদপুরের নাট্য শিল্পী অশোক দাস ৬টি পুরনো দিনের নাটকের গানও পরিবেশন করেন। পরে বিবেকানন্দের বাল্যকাল নিয়ে একটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের নাটক মঞ্চস্থ হয়।
• ‘গীতাঞ্জলি’র ইংরেজি অনুবাদের শতবর্ষ উপলক্ষে বিশ্বভারতীর লিপিকা প্রেক্ষাগৃহে শনিবার রাতে হয়েছে অনুষ্ঠান। ছিলেন উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্ত, রবীন্দ্রভবনের ডিরেক্টর তপতী মুখাপাধ্যায়।
|
|
কৃতীদের সংবর্ধনা বাঁকুড়ায়।
|
|
শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের আবক্ষ মূর্তি
উন্মোচন হল সিউড়ির এসপি মোড়ে।
|
তথ্য: অরুণ মুখোপাধ্যায়।
ছবি: তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়,
বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী,
সোমনাথ মুস্তাফি ও অভিজিৎ সিংহ। |
|