|
|
|
|
‘শো-কজ’ করবে কমিশন |
বিছানা ভেজানোয় ‘নির্যাতন’
ছাত্রীকে, তদন্তে বিশ্বভারতী
নিজস্ব সংবাদদাতা • শান্তিনিকেতন |
|
|
বিছানা ভিজিয়ে ফেলার ‘অপরাধে’ পঞ্চম শ্রেণির এক আবাসিক ছাত্রীকে তারই প্রস্রাব চাটানোর অভিযোগ খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করল বিশ্বভারতী। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন (এনসিপিসিআর) বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষকে শো-কজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বোলপুর শহরের বাসিন্দা ওই ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, “বিছানায় প্রস্রাব করেছে, এই অপরাধে ওয়ার্ডেন উমা পোদ্দার আমার মেয়েকে ভেজা বিছানায় নুন মাখিয়ে চাটতে বাধ্য করেছেন।” ছাত্রীটিও বলে, “উমাদি জোর করে আমাকে বিছানা চাটতে বাধ্য করেছিল।” ওই ছাত্রীর মা বলেন, “শনিবার রাতে মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় সব জানতে পারি। তখন ওর মানসিক অবস্থাও ভাল ছিল না। শুধু কান্নাকাটি করছিল।” তাঁদের মেয়ে এই ঘটনার পরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে জানিয়ে শনিবার রাতেই বাবা-মা তাকে হস্টেল থেকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যান।
শনিবার গভীর রাতেই ওই ছাত্রীর বাবা-মা পাঠভবনের অধ্যক্ষ এবং বোলপুর থানায় বিশ্বভারতীর করবী ছাত্রী নিবাসের ওয়ার্ডেন উমাদেবীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। বিশ্বভারতীর তরফে থানায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাল্টা অভিযোগ করা হয়। শনিবার রাতে উমাদেবী বলেছিলেন, “বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষই যা বলার বলবেন।” রবিবার হস্টেলে গিয়ে তাঁকে পাওয়া যায়নি। মোবাইলও বন্ধ। বীরভূমের পুলিশ সুপার হৃষিকেশ মিনা বলেন, “দু’পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শুরু হয়েছে।”
এনসিপিসিআরের এক মুখপাত্র এ দিন সংবাদসংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, “যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের নাম জড়িয়ে আছে, সেখানে এই ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তা দেখা হবে। ঘটনার জবাবদিহি চেয়ে সোমবার শো-কজ নোটিস বিশ্বভারতীকে পাঠানো হবে।”
এমন গুরুতর অভিযোগ ওঠায় নড়েচড়ে বসেছেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষও। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখপাত্র অমৃত সেন রবিবার বলেন, “উপাচার্য সুশান্ত দত্তগুপ্তের নির্দেশে বিশ্বভারতীর কর্মসচিব চার সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তদন্তে ওই ওয়ার্ডেন দোষী প্রমাণিত হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” শনিবার রাতে ওই ঘটনার জেরে বিশ্বভারতীর সংরক্ষিত এলাকায় ঢুকে মেয়েদের হস্টেলে বিশৃঙ্খলা তৈরির অভিযোগেরও তদন্ত করবে কমিটি। |
|
|
|
|
|