টুকরো খবর
জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনা, মৃত্যু বাবা ও ছেলের
—নিজস্ব চিত্র।
পথ দুর্ঘটনায় মারা গেলেন বাবা ও ছেলে। নাম সুবোধ দে (৪২) ও শুভজিৎ দে (৫)। রবিবার দুপুরে রাজবাঁধে ২ নম্বর জাতীয় সড়কের ঘটনা। ওই ঘটনায় জখম হয়েছেন মা ও আর এক ছেলেও। এরা সকলেই বাঁকুড়ার নিত্যানন্দপুরের বাসিন্দা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন গাড়িতে করে রাজবাঁধ থেকে সপরিবারে বাড়ি ফিরছিলেন সুবোধবাবু। বড় ছেলে দিব্যেন্দু রাজবাঁধের একটি বেসরকারি স্কুল থেকে নিতে গিয়েছিলেন তিনি। সঙ্গে তাঁর স্ত্রী চন্দনাদেবী ও ছোট ছেলে শুভজিৎও ছিল। আচমকা রাজবাঁধ বাসস্ট্যান্ডের কাছে একটি লরি তাঁদের গাড়িকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মারা যান সুবোধবাবু। খবর পেয়ে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের টহলদার অ্যাম্বুল্যান্স আসে। আসে পুলিশও। জখম চন্দনাদেবী, দিব্যেন্দু ও শুভজিৎকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই মারা যায় শুভজিৎ। দুর্ঘটনার ফলে জাতীয় সড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সিগন্যাল না থাকায় প্রায়শই ওখানে দুর্ঘটনা ঘটে। তাঁদের দাবি, রাস্তার ওই অংশে বৈদ্যুতিক সিগন্যাল চালু করতে হবে। পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে, কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হবে।

সোনা জিতে ফিরল সাঁতারু
জাতীয় স্তরে বয়স ভিত্তিক সাঁতারে একটি সোনা-সহ মোট ৪টি পদক জয়ী বর্ধমানের প্রত্যয় ভট্টাচার্যকে সংবর্ধনা দিল তাঁর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। অনূর্ধ্ব ১২-র ৩৭ জন প্রতিযোগীকে নিয়ে রাজ্য দল গিয়েছিল গুজরাটের রাজকোটে। সেখানে বাংলা মোট ৬টি পদক জিতলেও একমাত্র প্রত্যয়ই সোনা জিতেছে। শনিবার সকাল শহরে পৌছনোর পরেই প্রত্যয় ও বর্ধমানের অপর প্রতিযোগী সাহিল সরকে ঘোড়ার গাড়িতে উঠিয়ে শুরু হয় শহর পরিক্রমা। সাহিল ও প্রত্যয় দুজনেই রাজ্য স্তরের প্রতিযোগিতায় সফল হয়ে রাজকোটে গেলেও এ বার জাতীয় স্তরে শাহিল কোনও পদক পায়নি। মিছিল শেষ হয় আলমগঞ্জের কল্পতরু মাঠের চিল্ড্রেন কালচারাল সেন্টারে। সেখানে তাদের দেখতে ভিড় করেছিলেন এলাকার খুুদে সাঁতারুদের নিয়ে অভিভাবকেরাও। প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সম্পাদক কেষ্ট ঘোষ বলেন, ‘‘প্রত্যয়ের সাফল্য দেখে অনেকেই এবার সাঁতারে উৎসাহী হবে।”

কৃতী পড়ুয়াদের সংবর্ধনা স্কুলে
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে কৃতী ১১ জন ছাত্রছাত্রীকে সংবর্ধনা জানানো হল গৌরান্ডি আরকে ইন্সটিটিউশনে। বাৎসরিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও নবীন বরণ উৎসবেরও আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক বিধান উপাধ্যায় ও জেলা উচ্চমাধ্যমিক পর্ষদের সদস্য নিমাই মাহান্তি। এ দিন গৌরান্ডি বাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ এবং দোমহানি কেলেজোড়া উচ্চবিদ্যালয়ের একটি ভবনেরও উদ্বোধন করেন বিধানবাবু। বিদ্যালয়ের শিক্ষক দীপঙ্কর মুখোপাধ্যায় জানান, এই শিক্ষাবর্ষে তাঁদের বিদ্যালয় মাধ্যমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিকে উন্নীত হল। অন্য দিকে, তৃণমূলের রানিগঞ্জ শিক্ষা সেল এবং ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে রানিগঞ্জ পুরসভার ২২টি ওয়ার্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে বিদ্যালয়ভিত্তিক প্রথম তিন কৃতীদের সংবর্ধনা জানানো হল। মণীষীদের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও বিবেকানন্দের বাণী পাঠ করে রবিবারের এই অনুষ্ঠান শুরু হয়। ছিল সঙ্গীত ও নৃত্যও। অনুষ্ঠানে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক সোহরাব আলি ও রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।

কংগ্রেসের পথ অবরোধ
শহরে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে প্রায় দেড় ঘণ্টা জি টি রোড অবরোধ করল কংগ্রেস। রবিবার আসানসোল ব্লক কংগ্রেস কমিটির ডাকে এই কর্মসূচী পালিত হয়। নেতৃত্ব দেন আসানসোলের ডেপুটি মেয়র অমরনাথ চট্টোপাধ্যায়। সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ কংগ্রেসের প্রায় পাঁচশো সদস্য সমর্থক আসানসোল দক্ষিণ থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ক্রমে এই বিক্ষোভ কর্মসূচী পথ অবরোধের চেহারা নেয়। দুপুর ১টা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলে। এরপরে থানায় ডেপুটেশন দিয়ে অবরোধ তুলে নেন কর্মীরা। আসানসোল ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি অশোক মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, শহরের আইন শৃঙ্খলা তলানিতে ঠেকেছে। আসানসোল দক্ষিণ থানা এলাকায় একের পর এক অপরাধ ঘটছে। তাঁদের দাবি, শহরের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও জোরদার করতে হবে। আচমকা এই পথ অবরোধ কর্মসূচীতে বিপাকে পড়েন সাধারণ মানুষ। দেড় ঘন্টা টানা অবরোধের ফলে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। তবে রবিবার হওয়ায় যানবাহনের সংখ্যা তুলনায় কম ছিল। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

কার্যালয়ে ‘হামলা’
আইএনটিটিইউসি অফিসে হামলার অভিযোগ উঠল দুর্গাপুরের ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের বীরভানপুর দাসপাড়ায়। রবিবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ এক দল দুষ্কৃতী সেখানে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। প্রহৃত হন সংগঠনের কর্মী রঞ্জিত রুইদাস । তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আইএনটিটিইসি-র তরফে পুলিশের কাছে এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, তদন্ত চলছে।

নদীতে নিখোঁজ
নদীতে স্নান করতে গিয়ে তলিয়ে গেলেন এক যুবক। শনিবার বিকেলে আসানসোল উত্তর থানার ধাদকা এলাকার ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় গোবিন্দ তাঁতি নামে ওই যুবক এ দিন হুচুকপাড়ার কাছে নুনিয়া নদীতে স্নান করতে নামেন। তবে জল থেকে আর ওঠেননি তিনি। নদীর পাড় থেকে তাঁর জামা কাপড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারের কাজও শুরু হয়েছে।

মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ
—নিজস্ব চিত্র।
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করল সিপিএমের আসানসোল আঞ্চলিক কমিটি। রবিবার আসানসোলের কোর্ট বাজার এলাকায় সকাল ৯টা থেকে এই কর্মসূচী পালিত হয়। তাঁদের দাবি, মহকুমা প্রশাসন ও আসানসোল পুরসভার সর্বদলীয় কাউন্সিলরদের নিয়ে গঠিত একটি যৌথ কমিটিকে বাজার দর নজরে রাখার দায়িত্ব দেওয়া হোক।

টেবল টেনিস প্রতিযোগিতা
মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যোগে শনি ও রবিবার একটি টেবিল টেনিস প্রতিযোগিতা আয়োজিত হল। পুরুষ বিভাগের অনুর্ধ্ব ১০, অনুর্ধ্ব ১২, অনুর্ধ্ব ১৪ ও অনুর্ধ্ব ১৭ এবং অনুর্ধ্ব ১৯ বিভাগে বিজয়ী হয়েছেন যথাক্রমে নীলাদ্রী সান্যাল, চন্দন গুপ্ত, সন্দীপ পোদ্দার এবং কোমল সিংহ। পুরুষদের ডাবলসে জয়ী হয়েছেন বনদীপ চৌধুরী ও মিত্রজিৎ মুখোপাধ্যায়। মহিলা বিভাগে অনুর্ধ্ব ১৪ ও অনুর্ধ্ব ১৭ এবং অনুর্ধ্ব ১৯ বিভাগে বিজয়ী হয়েছেন যথাক্রমে অজন্তা চট্টোপাধ্যায়, মানসী কুমারী এবং রিয়াঙ্কা বক্সি।

ফুটবলে বিজয়ী সিএলডব্লিউ
ছবি: শৈলেন সরকার।
প্রগতি আয়োজিত বিবেকানন্দ গোল্ড কাপ ফুটবল প্রতিযোগিতায় রবিবার প্রথম দিনের খেলায় বিজয়ী হল সিএলডব্লিউ স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন। আসানসোল স্টেডিয়ামের এই খেলায় তারা মেমারি ফুটবল অ্যাকাডেমিকে ২-০ গোলে হারায়। খেলার সেরা হন বিজিত দলের পরেশ সর্দার। প্রতিযোগিতার সূচনা করেন আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী গণধীশানন্দ।

জামুড়িয়ায় মিছিল
স্বামী বিবেকানন্দের তিরোধান দিবস উপলক্ষে যৌথ ভাবে মিছিল করল জামুড়িয়ার কাঁটাগড়িয়া ও রানিগঞ্জের রানিসায়ের তৃণমূল। বড়দের সঙ্গে অনেক খুদেও পা মেলায় এই মিছিলে।

কোথায় কী
আসানসোল
ফুটবল প্রতিযোগিতা। আসানসোল স্টেডিয়াম। বিকাল ৪টা। উদ্যোগ: প্রগতি।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.